শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। দক্ষিণ কাশ্মীরের শোপিয়ান ও অনন্তনাগ সহ তিনটি পৃথক এনকাউন্টারে ২ শীর্ষ কমান্ডার সহ ১৩ জঙ্গিকে খতম করল নিরাপত্তাবাহিনী। জীবিত আটক করা হয়েছে এক জঙ্গিকে। এই এনকাউন্টারে ৩ জওয়ানও মারা গিয়েছেন।  গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন নিরীহ নাগরিক।


One terrorist was killed in #Anantnag & another was caught alive. Encounters are underway in #Shopian's Dragad & Kachdoora. 7 bodies of terrorists & huge amount of weapons have been recovered in Dragad: #JammuAndKashmir DGP SP Vaid pic.twitter.com/OiGjGxjZS1





রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, শনিবার রাতে গোপন সূত্রে বাহিনীর কাছে খবর আসে দক্ষিণ কাশ্মীরের তিন জায়গায় একসঙ্গে প্রচুর জঙ্গি জমায়েত হয়েছে গোপন বৈঠকের জন্য। প্রথমে অনন্তনাগের দিয়ালগমে এক জঙ্গিকে আত্মসমর্পণের চেষ্টা করায় পুলিশ। অবশেষে রাজি না হওয়ায়, নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তার। আরেক জঙ্গিকে জীবন্তই ধরে বাহিনী।






অন্যদিকে, শোপিয়ানের দ্রাগাডে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে আরও ১০ জঙ্গি। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এলাকায় তল্লাশি চালানোর সময় বাহিনী লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। জবাব দেয় বাহিনী। তাতেই ৭ জঙ্গি খতম হয়।  জঙ্গিদের মধ্যে একজন লস্কর-ই-তৈবা কম্যান্ডার, অপরজন হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার রয়েছে।






তৃতীয় এনকাউন্টার হয় শোপিয়ানের কাচদুরু এলাকায়। সেখানে জঙ্গির গুলিতে প্রাণ হারান ৩ জওয়ান। শহিদ জওয়ানরা হলেন-- সেপাই হেতরাম, গ্রেনেডিয়ার নিলেশ সিংহ এবং গ্রেনেডিয়ার অরনিন্দর কুমার। এই সেনা অভিযান আরও একটি কারণে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা হল, কাশ্মীরের তরুণ লেফটেন্যান্ট উমর ফৈয়াজের হত্যার বদলাও এদিন নিয়েছে সেনাবাহিনী। যে ১২জন জঙ্গিকে মেরেছে সেনাবাহিনী, তার মধ্যে তরুণ সেনা অফিসার উমর ফৈয়াজের হত্যাকারীরাও রয়েছে।







এদিকে, সেনা জঙ্গির গুলির লড়াইয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের হঠাতে গুলি চালায় বাহিনী। তাতে ২ বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়। ১২ জন আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে রাজ্য প্রশাসন।


 





জঙ্গি এনকাউন্টারের প্রতিবাদে উপত্যকায় ২ দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এদিন সঈদ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়েজ উমর ফারুখ এবং ইয়াসিন মালিকের নেতৃত্বাধীন জয়েন্ট রেসিসটেন্স লিডারশিপ (জেআরএল)-এর ব্যানারে ওই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।