পদত্যাগী তিন বিধায়কের নাম বলবন্ত সিংহ রাজপুত, তেজশ্রীবেন পটেল ও প্রহ্লাদ পটেল। বলবন্ত আবার বিধানসভায় কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক ছিলেন। তাঁরা দল ছাড়ায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে হল ৫৪। তিন বিধায়ক দলের সব পদ ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই গাঁধীনগরে বিজেপি দফতরে যান। সেখানে তখন ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর উপস্থিতিতেই বিজেপি-তে যোগ দেন এই তিন কংগ্রেস বিধায়ক। বাঘেলার আত্মীয় বলবন্ত রাজ্যসভায় প্রার্থী হচ্ছেন। গুজরাত থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে অপর দুই বিজেপি প্রার্থী দলীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানী।
বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বলবন্ত। তিনি বলেছেন, ‘আমি ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কংগ্রেসের হয়ে কাজ করেছি। তবে দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও উপদল দেখে অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। বাঘেলার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিয়ে আমার দিকে আঙুল তোলা হয়েছিল। তাই আমার মনে হয়েছিল, উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হলে কংগ্রেস ছাড়তেই হবে।’ অপর দুই বিধায়কও কংগ্রেস নেতৃত্বের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের দাবি, নির্বাচনে জয়ের পরিকল্পনা করার বদলে কংগ্রেস নেতারা গুরুত্বপূর্ণ পদ পাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিজেপি-র মন্ত্রীরা সবসময় তাঁদের দেওয়া উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেই কারণেই তাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিলেন।