শ্রীনগর: কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাহায্য করছে ৩০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। যেখানেই সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হচ্ছে, সেখানেই ভিড় জড়ো করছে এরা। তারা পাথর ছুঁড়ে সেনার কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে, সুবিধে করে দিচ্ছে জঙ্গিদের।


পুলিশ জানিয়েছে, এই ৩০০ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রতিটির সদস্য সংখ্যা ২৫০-র মত। শেষ ৩ সপ্তাহে এগুলির মধ্যে ৯০ শতাংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রুপগুলিকে চিহ্নিত করা হয়েছে, অ্যাডমিনদেরও। তাদের পুলিশে ডাকা হয়েছে কাউন্সেলিংয়ের জন্য। এতে ভাল ফল মিলছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।

কেন্দ্র যে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নীতি নিয়েছে, তার সুফল মিলতে শুরু করেছে বলে পুলিশ আধিকারিকরা জানাচ্ছেন। শনিবার বুদগাম জেলায় সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ হয়েছে কিন্তু খবর না মেলায় এসে ঝঞ্ঝাট পাকাতে পারেনি বিক্ষোভকারীরা। ২ জঙ্গি খতম হওয়ার পর অল্প কয়েকজন যুবক এসে পাথর ছোঁড়া শুরু করে।

অথচ ২৮ মার্চ এই বুদগামেই দুরবুঘ গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী-জঙ্গি সংঘর্ষের সময় বিক্ষোভকারীরা এমন মাত্রায় পাথর ছোঁড়ে, যে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বাহিনীকে গুলি চালাতে হয়, তাতে মারা যায় ৩জন।

কিন্তু এখন মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় তারা আর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে এনকাউন্টারের খবর পাচ্ছে না। বন্ধ ফেসবুকও। অথচ কিছুদিন আগেও ১০ কিলোমিটার দূর থেকেও যুবকরা হাজির হত এনকাউন্টার ক্ষেত্রে, বাহিনীর ওপর পাথর ছুঁড়তে।

তবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় অসুবিধেয় পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কেউ পারছেন না অনলাইনে টেন্ডার জমা দিতে, কারও শেয়ার বাজারের খবর রাখতে অসুবিধে হচ্ছে। শুধু বিএসএনএল এএই মুহূর্তে উপত্যকায় ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহ করছে। বাধ্য হয়ে বিএসএনএল সংযোগ চেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু সংস্থাটি জানিয়ে দিয়েছে, সময় লাগবে।