২০০৫ এর অযোধ্যা সন্ত্রাসবাদী হানা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন, মাথাপিছু ২.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা, খালাস ১ অভিযুক্ত
Web Desk, ABP Ananda | 18 Jun 2019 05:31 PM (IST)
২০০৫ এর ৫ জুলাইয়ের ওই নাশকতায় নিহত হয়েছিলেন দুজন স্থানীয় মানুষ, জখম হন সাত আধাসামরিক জওয়ান। পাল্টা নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয় ৫ সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী। ঘটনার ১৪ বছর বাদে আজ রায় বেরল।
এলাহাবাদ: ২০০৫ সালের অযোধ্যা সন্ত্রাসবাদী হানা মামলায় চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাস দিল এখানকার বিশেষ আদালত। এক অভিযুক্তকে খালাস করেছে আদালত। ২০০৫ এর ৫ জুলাইয়ের ওই নাশকতায় নিহত হয়েছিলেন দুজন স্থানীয় মানুষ, জখম হন সাত আধাসামরিক জওয়ান। পাল্টা নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে খতম হয় ৫ সন্দেহভাজন জইশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী। ঘটনার ১৪ বছর বাদে আজ রায় বেরল। এই মামলার ৫ অভিযুক্তকে রাখা হয়েছিল প্রয়াগরাজের (সাবেক এলাহাবাদ) নৈনি সেন্ট্রাল জেলে। মঙ্গলবার মামলার শুনানি করে বিশেষ বিচারক দীনেশ চন্দ্র চারজনের যাবজ্জীবন জেলের পাশাপাশি দোষীদের মাথাপিছু ২.৪ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেন বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি গুলাব চন্দ্র আগাহারি। সেদিন অযোধ্যার বিতর্কিত রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদস্থলে অস্থায়ী কমপ্লেক্সে ঢুকে পড়েছিল সন্ত্রাসবাদীরা। প্রায় ২ ঘন্টা তাদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। ইরফান, মহম্মদ শাকিল, মহম্মদ নাসিম, মহম্মদ আজিজ, আসিফ ইকবাল, ফারুক-এই ৫ অভিযুক্তকে যে কারাগারে রাখা হয়েছিল, নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আজ সেখানেই রায় ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছিল, এই সন্ত্রাসবাদীরা অযোধ্যামুখী তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে নেপাল সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢুকেছিল। রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ চত্বরে ঢুকে তারা গ্রেনেড ছোঁড়ে। রমেশ পান্ডে নামে এক গাইড প্রাণ হারান বিস্ফোরণে। এরপর সন্ত্রাসবাদীরা মাতা সীতা রসোইয়ে ঢুকে পড়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ৩৫ জনের বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ গুলিযুদ্ধের পর তাদের নিকেশ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৫টি একে-৫৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, ৫টি এম১৯১১ পিস্তল, গ্রেনেড লঞ্চার, গ্রেনেড ও বহু কাগজপত্র উদ্ধার হয়।