পটনা:  বিহারের বেগুসরাইয়ে কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে গঙ্গাস্নানে গিয়ে বিপত্তি। গঙ্গার ধারে সিমরিয়া ঘাটে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু অন্তত চার জনের। আহত বহু। মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা নীতীশ কুমার সরকারের। কিন্তু মৃত্যুর পরই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।  দুর্ঘটনার দায় ঝেরে ফেলতে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একে অপরকে দোষারোপের পালা শুরু হয়ে গিয়েছে।




আজ সকালে গঙ্গা স্নানের সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আজ গঙ্গার ঘাটে প্রায় কয়েক হাজার ভক্তের সমাগম হয়েছিল।



জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, মারাত্মক ভিড়ের মধ্যে আচমকাই হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। গুজবে লোকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। তখনই পদপিষ্ট হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়। বিহারের রাজধানী পটনা থেকে ১২৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই বেগুসরাই জায়গাটি।



এই ঘটনায় মৃতদের পরিবারের উদ্দেশ্যে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। দুর্ঘটনায় জখমদের বিনামূল্যে চিকিত্সা পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিহার সরকার। কিন্তু কীভাবে ঘটল এই দুর্ঘটনা? প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ভিড়ের মধ্যে থেকে কেউ একজন বলে ওঠে হুড়োহুড়িতে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজনের। এরপরই সেখানে উপস্থিত পূণার্থীরা ছুটোছুটি শুরু করে। তখনই পদপিষ্ট হয়ে চার জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, জখম বহু। যেহেতু প্রশাসনের তরফে প্রথম থেকেই যথাযথ কোনও ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি, সেকারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, মত প্রত্যক্ষদর্শীদের।

এধরনের ভক্ত সমাগম সামলাতে জেলা-প্রশাসনের যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকা উচিত থাকা প্রয়োজন। ওয়াচটাওয়ার এবং লাউড স্পিকারের প্রয়োজন ছিল জরুরি পরিস্থিতি সামলাতে। কিন্তু সেসব কোনও কিছুই ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। অপর এক সূত্রের দাবি, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধার কাজে নামে, যেহেতু প্রশাসনের তরফে সেসময় কেউই উপস্থিত ছিল না সেখানে। দুর্ঘটনার দায় নিয়ে প্রশাসনের অন্দরেই যখন চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন দুর্ঘটনাকে তুরুপের তাস করে শাসক দলকে আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী তেজস্বী যাদব এক টুইট করে নীতীশ কুমারকে এই দুর্ঘটনার পুরো দায় নেওয়ার জন্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন।