নয়াদিল্লি: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি পৌঁছেই মোদি-বিরোধী জোট গঠনে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ধ্র ভবনে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে বৈঠক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী সরকারকে আক্রমণও করলেন। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবনে ধর্ণায় বসা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের পাশে দাঁড়ালেন চার মুখ্যমন্ত্রী। কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের বাসভবনেও গিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু তাঁকে কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠকের অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ট্যুইটে অভিযোগ করেছেন কেজরীবাল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে না পেরে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা।



সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি রাজনীতির জায়গায় থাকে। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে। দিল্লিতে ৪ মাস ধরে সরকারের কাজকর্ম বন্ধ। ৬ দিন ধরে ধর্নায় কেজরীবাল। লেফটেন্যান্ট গভর্নর ৬ মিনিটও সময় দেননি। দিল্লিতে ক্ষমতার সঙ্কট তৈরি হলে দায় কার? গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সঙ্কট তৈরি হতে দেওয়া উচিত নয়। নির্বাচিত সরকারের কাজ করার অধিকার থাকা উচিত। রাজধানীর এই অবস্থা হলে অন্য জায়গায় কী হবে? সমস্যা মেটাতে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে সময় চেয়েছিলাম। জানানো হল তিনি রাজ নিবাসে নেই। দিল্লিতে জনাদেশের সম্মান করা উচিত। জবরদস্তি করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। লেফটেন্যান্ট গভর্নর কথা না শুনলে প্রধানমন্ত্রী শুনছেন না কেন? দিল্লির সমস্যা সমাধান না হলে দেশের সমস্যা কীভাবে মিটবে? কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক সবসময় থাকা উচিত। একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা দেখা করতে পারছি না। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করতে পারছি না। এটা গণতন্ত্র হতে পারে না। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়নি আমাদের। প্রধানমন্ত্রীকে সমস্যার সমাধান করতে বলব।’



কুমারস্বামী বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচিত সরকার ঠিক ভাবে কাজ করুক। কেজরীবালের দাবি মেনে নেওয়া হোক। কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করুক। লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করা উচিত।’