রায়পুর: একইদিনে ছত্তিশগড়ের দুজায়গায় জোড়া হামলা চালাল মাওবাদীরা।


একদিকে, নারায়ণপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন চার পুলিশকর্মী। আহত হন ৭ জন। অন্যদিকে, বিজাপুরে মাওবাদীদের রাখা প্রেশার বম্ব বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন ২ পুলিশকর্মী।


খবরে প্রকাশ, এদিন নারায়ণপুর জেলার আবুজমাদ এলাকার অন্তর্গত ইরপানার গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে পুলিশের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি বিনিময় হয়।


পুলিশের স্পেশাল ডিজি (মাওবাদীদমন অভিযান) ডি এম আবস্থী জানান, এদিন পুলিশের একটি টিম মাওদমন অভিযানে বেরিয়েছিল। সেই সময় বাহিনীর ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা।


তিনি বলেন, এই হামলায় চার পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ জন সাব-ইন্সপেক্টর ও ২ জন কনস্টেবল রয়েছেন। এছাড়া, আরও সাত পুলিশকর্মী আহত হন।


জানা গিয়েছে, এদিন ইরপানার জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড অফ পুলিশ (ডিআরজি) এবং স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর যৌথ দল।


তখনই, আচমকা বাহিনী লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে মাওবাদীরা। বস্তার রেঞ্জের আইজি বিবেকানন্দ সিনহা জানান, হামলা বেলা ১১টা নাগাদ শুরু হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে দুপক্ষের গুলি বিনিময় হয়।


নিহত চার পুলিশকর্মীই ডিআরজি-তে কর্মরত ছিলেন। হামলার খবর পেয়েই সেখানে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয়। আহতদের হেলিকপ্টারে করে রায়পুরে আনা হয়।


অন্যদিকে, বিজাপুর জেলায় এদিনই মাওবাদীদের পোঁতা প্রেশার বোমায় জখম হন ২ পুলিশকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে বাসাগুড়া পুলিশ স্টেশেনের অন্তর্গত হিদমাপাড়া গ্রামের কাছে।


এক পুলিশ আধিকারিক জানান, মাওবাদী-দমন অভিযান চালানোর পর ফিরছিল এসটিএফ ও রাজ্য পুলিশের একটি দল। এক এসটিএফ জওয়ান অসতর্কতাবশত প্রেশার বম্বের ওপর পা দিলে তাতে বিস্ফোরণ ঘটে।


ওই জওয়ানের পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। অন্য জওয়ানের সামান্য আঘাত লেগেছে। দুজনকেই হেলিকপ্টারে করে জগদলপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরে।