আজ বিষয়টি নিয়ে ইতিমঘ্যেই ঝড় উঠেছে সংসদে। রাহুল ফেসবুকে লিখেছেন, মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে ইউপিএ ১৯৮৫-তে অসম চুক্তির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জী বা এনআরসি তৈরিতে হাত দেয়। অথচ ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করার পরেও এত সংবেদনশীল মামলায় ভুলত্রুটি রয়ে গিয়েছে। মমতাও জানিয়েছেন, বাঙালিদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় তিনি চিন্তিত।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারই জানিয়েছে, এই তালিকা স্রেফ খসড়া, চূড়ান্ত তালিকা নয়। যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অবস্থান জানিয়ে ফের আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ যে ৪০ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে, নথিপত্র নিয়ে ফের এনআরসিতে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। এমনকী চূড়ান্ত তালিকা আসার পরেও বিদেশি ঘোষিত হওয়া লোকজনের ফরেন ট্রাইবুন্যালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। তারপরেও যাঁদের নাম বাদ পড়বে তাঁরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আশ্বাস দিয়েছেন, জোর করে কারও বিরুদ্ধে কিছু করা হবে না, কারও ভয় পাওয়ার কারণ নেই।
এর মধ্যে বিজেপি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে এখানেও এনআরসি করবে তারা। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছেন, এ রাজ্যেও প্রকৃত নাগরিকদের নাম নথিবদ্ধ করে বেআইনি বাংলাদেশিদের বহিষ্কার করা হবে।