নয়াদিল্লি: অসমের জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জী বা এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনা হল। প্রস্তাব এনেছে কংগ্রেস-তৃণমূল। নাম বাদ পড়া ইস্যুতে আজ সংসদ চত্বরে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে। এই ইস্যুতে বিরোধীরা কার্যত এককাট্টা হয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে আক্রমণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিজেপি তাঁদেরই বার করে দিচ্ছে, যাঁরা তাদের ভোট দেন না। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ফেসবুকে লিখেছেন, যাঁদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, কংগ্রেস তাঁদের সাহায্য করবে।


আজ বিষয়টি নিয়ে ইতিমঘ্যেই ঝড় উঠেছে সংসদে। রাহুল ফেসবুকে লিখেছেন, মনমোহন সিংহের নেতৃত্বে ইউপিএ ১৯৮৫-তে অসম চুক্তির মাধ্যমে জাতীয় নাগরিকত্ব পঞ্জী বা এনআরসি তৈরিতে হাত দেয়। অথচ ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করার পরেও এত সংবেদনশীল মামলায় ভুলত্রুটি রয়ে গিয়েছে। মমতাও জানিয়েছেন, বাঙালিদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাওয়ায় তিনি চিন্তিত।

তবে কেন্দ্রীয় সরকারই জানিয়েছে, এই তালিকা স্রেফ খসড়া, চূড়ান্ত তালিকা নয়। যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁরা প্রত্যেকে নিজের নিজের অবস্থান জানিয়ে ফের আবেদন করার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ যে ৪০ লক্ষের নাম বাদ পড়েছে, নথিপত্র নিয়ে ফের এনআরসিতে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা। এমনকী চূড়ান্ত তালিকা আসার পরেও বিদেশি ঘোষিত হওয়া লোকজনের ফরেন ট্রাইবুন্যালে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। তারপরেও যাঁদের নাম বাদ পড়বে তাঁরা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ আশ্বাস দিয়েছেন, জোর করে কারও বিরুদ্ধে কিছু করা হবে না, কারও ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

এর মধ্যে বিজেপি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এলে এখানেও এনআরসি করবে তারা। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘোষণা করেছেন, এ রাজ্যেও প্রকৃত নাগরিকদের নাম নথিবদ্ধ করে বেআইনি বাংলাদেশিদের বহিষ্কার করা হবে।