আলিগড়:  এখনকার তরুণ প্রজন্ম স্মার্টফোন ছাড়া একটি মুহূর্তও চলতে পারে না। কিন্তু সেই স্মার্টফোন যে তাদের কত বড় বিপদ ডেকে আনছে, সেকথা বোধহয় কেউই বুঝতে পারছে না। মুম্বই আইআইটির এক প্রফেসর সম্প্রতি এই নিয়ে একটি গবেষণা করেছিলেন। সেই গবেষণায় তিনি দাবি করেছেন, স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার মস্তিষ্কে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।


প্রফেসর গিরিশ কুমার আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিনারে গিয়ে রেডিয়েশন হ্যাজার্ডস অফ সেল ফোন নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মার্টফোনের কুপ্রভাব সম্পর্কে মুখ খোলেন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে সাবধান করেছেন, স্মার্টফোন দিনে তিরিশ মিনিটের বেশি যেন কেউ ব্যবহারই না করেন। সেটা না করলেই সামনে সমূহ বিপদ। এমনকি সেই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও তিনি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। শুধু মস্তিষ্কে ক্যান্সার নয়, মোবাইল ফোন থেকে বেরনো ফ্রি র‍্যাডিকাল পুরুষের প্রজনন ক্ষমতার ওপরও মারাত্মক প্রভাব ফেলে বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। কিশোর বয়সের থেকেও স্মার্টফোন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে শিশু মস্তিষ্কে। কারণ, এই সময় মস্তিষ্কের আস্তরণ পাতলা থাকে।

শুধু মানুষ নয়, মোবাইলের মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে পশু, পাখি এবং গাছের ওপরও। শুধু ক্যান্সার বা প্রজনন ক্ষমতা নয়, ঘুমের সমস্যা, নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, অ্যালঝাইমার বা পার্কিনসনের মতো অসুখেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে। কাজেই আসন্ন বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচাতে এখনই সতর্ক হওয়া উচিত প্রত্যেক মানুষের মত, ওই প্রফেসরের।