নয়াদিল্লি ও পটনা: বিহারে প্রবল বন্যায় ৪১ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৬৬ লক্ষ মানুষ। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিহারে মোট ১২টি জেলা বন্যার কবলে। এদিন আকাশপথে বন্যা-কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি জানান, নেপালে প্রবল বর্ষণের ফলেই বিহারে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, গত তিনদিন ধরে নেপাল ও বিহারে প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
এদিন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্রত্যয় অমৃত জানান, এখনও পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জন মারা গিয়েছেন আরারিয়াতে। এছাড়া, সীতামারহিতে ৬, কিষাণগঞ্জে ৫, ও পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ ও দ্বারভাঙ্গাতে তিনজন করে মানুষ মারা গিয়েছন। অন্যদিকে, মধূবনীতে মারা গিয়েছেন একজন।


[embed]https://twitter.com/PMOIndia/status/896994091463917569[/embed]

https://twitter.com/PMOIndia/status/896994185793880064

https://twitter.com/PMOIndia/status/896994323794862082


ভয়াবহ অবস্থা আরারিয়ার। কিষাণগঞ্জেও পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মহানন্দা নদীর বাঁধ ভেঙে পড়ায় গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা সহ দু’জনের। নদীর জল ঢুকে পড়ায় হাজার একরের বেশি চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শহর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা এবং এলাকা জলমগ্ন। বহু বাড়ির একতলায় জল ঢুকেছে। আজও নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত এলাকায় জলস্তর আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলবন্দি বহু মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে কিষাণগঞ্জের পাশাপাশি জলমগ্ন বিহারের পূর্ণিয়া জেলার একাধিক এলাকা। ১৭টি গ্রামে জলবন্দি বহু মানুষ। উদ্ধারে ৭০টি নৌকা নিয়ে নেমেছে এনডিআরএফের ২২টি দল।
১.৮২ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। মোট ২৫৪টি ত্রাণ-শিবিরে ৪৮ হাজারেরে বেশি মানুষকে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।
বিহারের বন্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতীশের সঙ্গে তিনি ফোনে কথা বলেন। গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন। তিনি জানান, বিহারের বন্যাত্রাণে কেন্দ্র পূর্ণ সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সহায়তায় কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানান নীতীশ। বলেন, এই সময় বিহারবাসীর পাশে থাকায় কেন্দ্রকে ধন্যবাদ। তিনি যোগ করেন, পূর্ণিয়ায় সেনার কলাম পাঠানো হয়েছে।