নয়াদিল্লি: দেশের ৪৪ শতাংশ সরকারি স্কুল বিদ্যুৎহীন! সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট সেরকমই তথ্য দিচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে? মাত্র ৫৬.৪৩ শতাংশ সরকারি স্কুলে।


৫ মার্চ রাজ্যসভায় রিপোর্টটি জমা পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১২টিতে ৫০ শতাংশেরও বেশি সরকারি স্কুলে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ।

সবচেয়ে করুণ ছবি মেঘালয়ের। রিপোর্ট অনুযায়ী, মেঘালয়ের ৮১.৩১ শতাংশ সরকারি স্কুলে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। মাত্র ১৮.১৯ শতাংশ স্কুলেই রয়েছে বিদ্যুৎ। তারপরই মধ্যপ্রদেশ। সেখানকার ৮০.৩৯ শতাংশ সরকারি স্কুল বিদ্যুৎহীন। উত্তরপ্রদেশে মাত্র ৩১.০৫ শতাংশ স্কুলে রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। অসম, জম্মু ও কাশ্মীর, ওড়িশা ও বিহারে অঙ্কটা ক্রমশ ২৪.৭৮, ২৮.২৯, ৩০.১৩ ও ৪২.৪৩ শতাংশ।

রিপোর্টে রয়েছে আরও কিছু চমকে ওঠার মতো তথ্য। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক থেকে দেশের মোট ১৩৮৩টি সরকারি স্কুলে গবেষণাগার তৈরির কথা বলা হয়েছিল। যদিও মাত্র ৩টি ল্যাবরেটরি এখনও পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে শিক্ষাখাতে মোট ৮২,৫৭০.০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনুমোদিত অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ৫৯,৮৪৫ কোটিতে।

সরকারি স্কুলে শৌচালয় নির্মাণেও রয়েছে চমকে ওঠার মতো ছবি। দেশের সরকারি স্কুলে মেয়েদের জন্য মোট ৩৬২৩১টি ও ছেলেদের জন্য ১৮৬৯টি শৌচালয় নির্মাণের কথা বলা হলেও বাস্তব ছবিটা অন্যরকম। মেয়েদের জন্য ২৪৫৪০টি ও ছেলেদের জন্য মাত্র ৮৫টি শৌচালয় নির্মিত হয়েছে।

কেন্দ্রের সমগ্র শিক্ষা প্রকল্পে ৫৬টি স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করার কথা ছিল। সেই সঙ্গে ১০২১টি নতুন শ্রেণিকক্ষ, বিজ্ঞান বিভাগের ৪০টি ল্যাবরেটরি, ১৩৫টি লাইব্রেরি বরাদ্দ হয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত একটিও নির্মিত হয়নি।

এই রিপোর্ট প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা।