নয়াদিল্লি: সারা দেশের ৪৫ জন বিধায়ক এবং তিনজন সাংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সময় পেশ করা হলফনামায় মহিলাদের উপর অত্যাচারের অপরাধে মামলা দায়ের হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানাল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ৪,৮৪৫ জন সাংসদ ও বিধায়কের হলফনামা পরীক্ষা করে এক রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৩৩ শতাংশ জনপ্রতিনিধি (১,৫৮০ জন) বিভিন্ন অপরাধের জন্য মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪৮ জন মহিলাদের মারধর, শ্লীলতাহানি, অপহরণ, বিয়েতে বাধ্য করা, ধর্ষণ, নারীপাচার, পারিবারিক হিংসার মতো অপরাধের জন্য মামলা চলার কথা ঘোষণা করেছেন। এই ৪৮ জনের মধ্যে বিজেপি-র জনপ্রতিনিধির সংখ্যা সর্বাধিক ১২। শিবসেনার সাতজন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ জন জনপ্রতিনিধিও মহিলাদের উপর অত্যাচারের দায়ে মামলার কথা জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে এই ধরনের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ১২। এরপরেই আছে পশ্চিমবঙ্গ (১১)।

দেশে এখন ৭৭৬ জন সাংসদ এবং ৪,১২০ জন বিধায়ক আছেন। তাঁদের একটা বড় অংশই অপরাধী। এডিআর-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘সব প্রধান রাজনৈতিক দলই ধর্ষণ ও মহিলাদের উপর অত্যাচারে অভিযুক্তদের প্রার্থী করে। তার ফলে মহিলাদের সুরক্ষা ও সম্মান বজায় থাকে না। গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকা ব্যক্তিরা যাতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে এডিআর ও ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচ সংগঠন। রাজনৈতিক দলগুলিরও জানানো উচিত, কীসের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়। সাংসদ ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে মামলার বিচার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হওয়া উচিত।’

এডিআর-এর রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলি এমন ২৬ জনকে প্রার্থী করেছে, যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে রাজ্যসভা, লোকসভা ও বিধানসভায় ১৪ জন এমন নির্দল প্রার্থী ছিলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা আছে।