নয়াদিল্লি: ফ্রান্স থেকে ভারতের রওনা দিল পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রথম দফায় এই পাঁচ বিমান ভারতের বায়ুসেনার অন্তর্ভূক্ত হচ্ছে। নিঃসন্দেহে চিনের সঙ্গে চলতি সংঘাতের প্রেক্ষাপটে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমানের অন্তর্ভূক্তি ভারতের বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। আগামী ২৯ জুলাই এই যুদ্ধবিমানগুলি ভারতে পৌঁছবে বলে জানিয়েছে ফ্রান্সে ভারতীয় দূতাবাস।
পাঁচ রাফাল জেট ভারতের আম্বালা এয়ারবেসে পৌঁছবে। বুধবার এই বিমানগুলি বায়ুসেনার অন্তর্ভূক্ত হবে। আম্বালায় পৌঁছনোর আগে পাঁচ বিমান সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবুধাবির কাছে আল-ডফরা ফরাসি এয়ারবেসে থামবে। এই বিমানগুলির মধ্যে দুটি ট্রেনার এয়ারক্র্যাফ্ট ও তিনটি যুদ্ধবিমান। মেরিগ্রাক-এ রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা ডসল্ট-এর ফেসিলিটিতে এগুলির নির্মাণ হয়েছে।
আম্বালা বিমানঘাঁটিতে ইতিমধ্যেই এই যুদ্ধবিমানগুলির জন্য প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। দিল্লির কাছে হরিয়ানার এই ঘাঁটিতে প্রথম দফায় আসা রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হবে। রাফাল যুদ্ধবিমান রাখার জন্য আম্বালা বিমানঘাঁটিতে আলাদা করে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, বিমান রাখার জায়গা (হ্যাঙ্গার), এয়ার-স্ট্রিপ ও কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম। রাফালের প্রথম স্কোয়াড্রনের নাম রাখা হয়েছে গোল্ডেন অ্যারো।
ভারতীয় বায়ুসেনায় রাফালের অন্তর্ভূক্তি দক্ষিণ এশিয়ায় গেম চেঞ্চার বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাফাল ৪.৫ জেনারেশন মিডিয়াম মাল্টিরোল এয়ারক্র্যাফ্ট। মাল্টিরোল হওয়ার কারণে দুই ইঞ্জিনের রাফাল যুদ্ধবিমান এয়ার সুপ্রিমেসি অর্থাত্ আকাশে দাপট বজায় রাখার পাশাপাশি ডিপ পেনিট্রেশন অর্থাত্ শত্রুপক্ষের সীমায় ঢুকে আক্রমণ করতেও সক্ষম।
আধিকারিক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে রাফাল যুদ্ধবিমান মোতায়েনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরফলে চিনের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি)-তে অভিযান সংক্রান্ত ক্ষমতা মজবুত হতে পারে।
আধিকারিকরা বলেছেন, রাফাল যুদ্ধবিমান আসায় বায়ুসেনার ক্ষমতা আরও বাড়বে। ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের জন্য ভারত ফ্রান্সের সঙ্গে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এরমধ্যে ৩০ টি যুদ্ধবিমান ও ছয়টি প্রশিক্ষণ দানের বিমান।