গুয়াহাটি: বাংলাদেশ থেকে আসা এক পরিবারের ৬ বেআইনি অনুপ্রবেশকারী অসমের মোরিগাঁও জেলায় গ্রেফতার। মোরিগাঁওয়ের ডিএসপি (সীমান্ত) ডি আর বোরা জানিয়েছেন, গুয়াহাটি হাইকোর্ট তাদের অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলায় তারা পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়, অনুপ্রবেশকারী তকমাকে চ্যালেঞ্জ করে। কিন্তু হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে তাদের আবেদন বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। তাদের পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। চার মাস আগে তারপরই তারা উধাও হয়ে যায়।
বোরা বলেন, ২ মহিলা সমেত গ্রেফতার অনুপ্রবেশকারীদের ‘বিদেশি’ ঘোষণা করেছিল ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। গুয়াহাটি হাইকোর্ট সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। পরিবারটি তখন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায়। কিন্তু শীর্ষ আদালত তাদের পিটিশন নাকচ করে আত্মসমর্পণ করতে বলে। বোরা জানান, বৃহস্পতিবার ধৃত ৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হল, আমেজ আলি, সিরাজুল হক, সোমেত আলি, গোলাপ আলি, ইউমুরি বেগম ও রবিশা বেগম। তাদের সবাইকে তেজপুরে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু কংগ্রেস উত্তরপূর্বের সংরক্ষিত এলাকায় উদ্বাস্তুদের এনে বসিয়েছে, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রিজিজু অরুণাচল প্রদেশের লোক। সেখানে অতীতে কংগ্রেসের শাসনকালে কয়েক হাজার চাকমা উদ্বাস্তুকে নিয়ে এসে বসানো হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্যের স্থানীয় বাসিন্দারা বাংলাদেশ থেকে আসা চাকমাদের ‘পুনর্বাসনে’র প্রবল বিরোধিতা করে যাচ্ছেন।
বিজেপি, কেন্দ্রের এনডিএ সরকার উত্তরপূর্বের ভূমিপুত্রদের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচিতি, সত্তা রক্ষায় যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলেও জানান রিজিজু। তিনি বলেন, এটা ট্র্যাজেডি যে, কংগ্রেস মারাত্মক ভুল করেছে, উত্তরপূর্ব ভারতের সংরক্ষিত এলাকায় উদ্বাস্তু বসতি গড়তে দিয়েছে, বেআইনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে কাজে লাগিয়েছে। আমরা আর এটা চলতে দেব না।
অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের সমস্যা অসমের রাজনীতিতে দশকের পর দশক বড় ইস্যু। ১৯৭৯তে সেখানে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে খুঁজে বের করে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামে আসু, যা ৬ বছর ধরে চলে। ১৯৮৫-র ১৫ আগস্ট যার ফলশ্রুতিতে স্বাক্ষরিত হয় অসম চুক্তি।