শ্রীনগর: দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে পুলিশ দলের ওপর সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত ৬। নিহত পুলিশকর্মীদের মধ্যে আছেন এক সাব ইনস্পেক্টর। অনন্তনাগের আচাবল এলাকায় এই হামলা হয়েছে পুলিশ পার্টির ওপর।
জঙ্গিরা নির্বিচারে গুলিবৃষ্টি করে। সাব ইনস্পেক্টর ফিরোজ নামে এক স্টেশন হাউস অফিসার গুলিতে নিহত হন। তিনি পুলওয়ামার বাসিন্দা।

জিপে এলাকা টহল দিতে বেরিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাঁরা নাকি বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ছিলেন নাা। তার সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা নৃশংস হামলা করে। পুুলিশকর্মীদের কাবু করে মুখের ভিতরে গুলি করে খুব কাছ থেকে। নিহত পুলিশকর্মীদের অস্ত্র নিয়ে চলে যায়।

ফিরোজ অনন্তনাগে ডিউটি শেষে আচাবলে থানায় ফিরছিলেন। কুলগাদ গ্রামের কাছে পুলিশ দলটির ওপর গুলি চালায় সন্ত্রাসবাদীরা। ফিরোজ সহ ৬ জনই ঘটনাস্থলে নিহত হন। অবন্তীপোরার ডোগরিপুরার বাসিন্দা ফিরোজ ৬ ও ২ বছরের দুই মেয়ের বাবা। তাঁর স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা মৃতদেহ নিতে থানায় এলে শোকের পরিবেশ দেখা যায় সেখানে।

বাকি নিহত পুলিশকর্মীরা হলেন শারিক আহমেদ, তনবীর আহমেদ, শেরাজ আহমেদ, আসিফ আহমেদ ও সবজার আহমেদ।

এদিনই অনন্তনাগের আরওয়ানিতে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে এনকাউন্টারে লস্কর-ই-তৈবার কমান্ডার জুনেইদ মাট্টু নিহত হওয়ার পরই ৬ পুলিশকর্মীর হত্যার ঘটনায় মনে করা হচ্ছে, এটা বদলা। মাট্টুর মৃত্যুর পাল্টা আঘাত হানল লস্কর।

বিজবেহরার আরওয়ানিতে আজ সকালে তিন সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে টানা বেশ কয়েক ঘন্টা গুলিবিনিময় হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। মাট্টু সমেত তিনজনেই নিহত হয়। যদিও এপর্যন্ত কোনও মৃতদেহ মেলেনি। এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী।

এদিকে আরওয়ানির এনকাউন্টার চলাকালে নিরাপত্তাবাহিনীকে বাধা দেয় পাথরছোঁড়া বাহিনী। তাদের রুখতে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিতে আহসান মুস্তাক ও মহম্মদ আশরফ খার নামে দুজন যুবক নিহত হয়। তবে ওই যুবকরা পাথরছোঁড়া বাহিনীতে ছিল নাকি সংঘর্ষস্থলে আটকে পড়েছিল, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। জখম হয়েছে ১০ জন, বেশিরভাগই পেলেটের আঘাতে।

এদিকে শুক্রবারের নমাজের পর শ্রীনগর সহ উপত্যকার নানা স্থানে সংঘর্ষে জড়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও বিক্ষোভকারীরা। জেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক, দলের শীর্ষ নেতা জি এম দারকে আগাম হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের ১৯ জুন পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে সেন্ট্রাল জেলে রাখা হবে।