অমৃতসর:  ১৯৮৪ সালের কোনও এক দুপুরে পঞ্জাবে সীমান্ত ঘেঁসা গ্রাম চানা বেদিতে বাবার সঙ্গে ফসলের খেতে খেলতে খেলতে হারিয়ে গিয়েছিলেন সাত বছরের নানক সিংহ। প্রসঙ্গত, সেসময় সেখানে কোনও কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। খেতের মধ্যে সেই যে পথ হারিয়ে ফেলেন নানক, তারপর আজও সেই পথ খুঁজে পায়নি সে। এদিকে সীমান্তের এপ্রান্তে তিন দশকের বেশি সময় ধরেও চোখের জল ফেলে অপেক্ষা করে যাচ্ছেন নানকের বাবা-মা। যেহেতু তাঁরা অর্ধশিক্ষিত এবং অর্থনৈতিক ভাবেও দুর্বল তাই তাঁরা সেরকম কোনও আইনি পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারেননি।

প্রসঙ্গত, তাঁরা ছেলের ব্যাপারে প্রথম জানতে পারেন ২০০২ সালে যখন রামদাস থানার পুলিশ আধিকারিকরা জানান, তাঁদের সন্তানকে পাকিস্তানে আটকে রাখা হয়েছে। নিজের সন্তানকে ছেড়ে একজন মায়ের পক্ষে এক মিনিটও থাকা অসম্ভব, সেখানে তাঁরা তিন দশক ধরে সন্তানের জন্যে শুধু অপেক্ষায় রয়েছেন।

তবে এখনও নানকের বাবা-মা আশা করেন, শীঘ্রই তাঁর সন্তানকে কোট লাখপাত জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে এতদিন বাদে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে আদও চিনতে পারবেন কিনা সেনিয়েও দ্বন্দ্ব রয়েছে বৃদ্ধ দম্পতির মনে। তবে পাকিস্তানের জেলে কাকর সিংহ নামে রয়েছেন নানক। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নজরেও বিষয়টা আনা হয়েছে। আগামী মাসেই নানকের বাবা-মা এবিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। তবে নানকের বাবা-মার আক্ষেপ ছেলেকে বন্দির সময় তাঁর বয়স এবং মানসিকতাকে যদি একটু গুরুত্ব দিয়ে ভাবত পাক প্রশাসন, তাহলে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যেত।