লখনউ: উত্তরপ্রদেশকে যেভাবে লগ্নিকারীরা বিনিয়োগের জন্য বেছে নিয়েছেন, যে উত্সাহ, উদ্দীপনা দেখাচ্ছেন, তাতে ১ কোটি বেকারের মধ্যে আগামী ৫ বছরে ৭০ হাজারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সুযোগ করে দেওয়া যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস। বললেন যোগী আদিত্যনাথ।

আজ এখানে রোজগার সম্মেলনের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

তাঁর সরকার কৃষির সঙ্গে কর্মসংস্থানকে জুড়ে দিয়েছে বলে জানান আদিত্যনাথ। কৃষি এক বিশাল ক্ষেত্র হওয়ায় সেখানে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে অভিমত তাঁর।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভাদোহিতে কার্পেট শিল্পে কোনও উত্সাহ নেই, আলিগড়ের তালা শিল্প, মোরাদাবাদের পিতল শিল্প, বারানসীর শাড়ি শিল্প। আমরা রাজ্যটাকে কেন এক জেলা, এক পণ্য, এই ধাঁচে উন্নত করতে পারি না? রাজ্যের ৭৫টি জেলার অধিকাংশেরই কোনও না কোনও ঐতিহ্যবাহী শিল্প আছে।

যুবকদের ওপর ভরসা রাখার কথা বলেন তিনি। বলেন, সমাজে বিপদ এলেই দেখা যায় ওঁদের। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ওঁরা দৃঢ়তা দেখান। কিন্তু ওঁদের কর্মসংস্থানের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই। নতুন শিল্পনীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে ওঁদের কর্মসংস্থানে।

পশ্চিমবঙ্গকে ভাষণে কটাক্ষ করে বলেন, ৪০-৫০ বছর আগে বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে মজুররা পশ্চিমবঙ্গে কাজ করতে যেত। কিন্তু ইউনিয়নবাজির দাপটে ওখানে কী হাল হয়েছে দেখুন! উত্তরপ্রদেশে শ্রম আইন সহজ, সরল করা হয়েছে। সুতরাং এখানেই কাজ করা উচিত লোকের।

কৃষিই কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় উত্স, প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃষি উত্পাদন তিনগুণ করা সম্ভব বলে জানান তিনি। বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া আমরা আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করতে পারব না।

কৃষিঝণ মকুব প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আর্থিক চ্যালেঞ্জ ছিল, কিন্তু সরকার বাজে খরচে রাশ টেনেছে, মন্ত্রীদের একমাত্র নতুন রং করা ছাড়া বাংলোয় দামি সাজসজ্জা করতে, নতুন গাড়ি কিনতেও নিষেধ করা হয়েছে। এভাবে ১৪ হাজার কোটি টাকা বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।