নয়াদিল্লি:  ১৯৪২ সালের ঐতিহাসিক ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আজ সংসদ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে এক নতুন ভারত গড়ার ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদী তাঁর ভাষণে বলেন, এবার সময় এসেছে দেশের প্রতিটি মানুষের প্রতিজ্ঞা নেওয়ার যে ২০২২ সালের মধ্যে তাঁরা সাম্প্রদায়িকতাহীন, জাতমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়বে।






১৯৪২-এর ঐতিহাসিক আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে তিনি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এবং দেশের তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান করেছেন এই সমস্ত মানুষের ভাবনা ও কর্মকাণ্ড থেকে অনুপ্রেরণা নিতে।

এই সংক্রান্ত একাধিক টুইটে মোদী বলেন, সেই সময় স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে দেশের প্রতিটি মানুষ একজনের নেতৃত্বে নিজেদের আত্মসমর্পণ করেছিল। সেই সময়ের মানুষগুলোর আত্মবলিদানের জন্যেই আজ ভারত এখানে পৌঁছতে পেরেছে বলেও নিজের টুইটে উল্লেখ করেন মোদী।

 




মোদীর তাঁর টুইটে আরও বলেন, সেই সময় ভারতকে ব্রিটিশদের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তি দেওয়াই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্যে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল। আজ তাঁদের জন্যেই বর্তমান জায়গায় পৌঁছেছে ভারত, মন্তব্য মোদীর।

তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে মোদী দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে আর্জি রেখেছেন, তাঁরা যেন তাঁকে নতুন ভারত তৈরির পথে সাহায্য করেন। সেই নতুন ভারতে দারিদ্র্য থাকবে না, দুর্নীতি থাকবে না, সন্ত্রাস হানার মতো জঘন্য ব্যধি থাকবে না, জাতি বিদ্বেষহীন এক নতুন ভারতের উদয় হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী স্লোগান দেন ‘সঙ্কল্প সে সিদ্ধি’ এবং প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে অনুরোধ রাখেন, তাঁরা যেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই নতুন ভারত গড়ার পথে এগোন।





লোকসভায় ভারত ছাড়ো আন্দোলন নিয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে এই দিনটিকে তাঁদের গর্বের দিন বলেও উল্লেখ করেন মোদী।  তারপর মোদী বলেন, যেমন ১৯৪২ এর আন্দোলনের পাঁচ বছরের মধ্যে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল ভারত, ঠিক তেমনই আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বমঞ্চে এক নতুন ভারতের উদয় হবে। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হবে ২০২২ সালে। সেই সময় যেন সারা দুনিয়ার কাছে এক আদর্শ হিসেবে আবির্ভাব ঘটে ভারতের।