আগরতলা: ত্রিপুরায় মোটের নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হল বিধানসভা ভোট। কোনও জায়গা থেকেই গোলমালের খবর পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দু’টি বোমা উদ্ধার করা হয়। সেগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। দিনের শেষে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এদিন ভোট পড়েছে ৭৬ শতাংশ। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন প্রায় ২৫.৭৩ লক্ষ মানুষ। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণের হার ছিল ৯১.৮২ শতাংশ। আবার ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮৪.৩২ শতাংশ।
চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের নেতৃত্বে তাদের পুরনো গড় ধরে রাখার লড়াই করছে সিপিএম। উল্টোদিকে দ্রুত উঠে আসা বিজেপি এবার বামেদের অবসান ঘটিয়ে পূর্ব ভারতের এই রাজ্য দখলের স্বপ্ন দেখছে। ত্রিপুরায় বিধানসভা আসন ৬০টি। ভোট হচ্ছে ৫৯টিতে, চরিলাম কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যুর জেরে ওই কেন্দ্রে ভোট হবে ১২ মার্চ।
৫৯টি কেন্দ্রে মোট প্রার্থীসংখ্যা ৩০৭। ৫৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। তাদের জোটসঙ্গী ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ও আরএসপি একটি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছে। উল্টোদিকে বিজেপি লড়ছে ৫০টি আসনে। জোটসঙ্গী ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা বা আইপিএফটি লড়ছে বাকি আসনগুলিতে। কংগ্রেস লড়ছে ৫৮টি আসনে।
ভোটের ফল বার হবে ৩ মার্চ। সরকার গড়তে লাগবে ৩১টি আসন। ২০১৩-র বিধানসভা ভোটে সিপিএম ৪৯ ও কংগ্রেস ১০টি আসন পেয়েছিল। ১টি আসন পান নির্দল প্রার্থী।
কিন্তু গত ৫ বছরে রাজনৈতিক রসায়ন পুরোপুরি বদলে গিয়েছে এ রাজ্যে। সিপিএমকে টক্কর দিতে দারুণভাবে উঠে এসেছে বিজেপি। শেষ কয়েকটি ভোটে দুর্দান্ত ফল তাদের আশাবাদী করে তুলেছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ভোটপ্রচারে এসে রাজ্যবাসীকে আহ্বান করেছেন, মানিক ফেলে হিরে নিতে। ৩ মার্চ জানা যাবে সেই আহ্বানে কান দিয়েছেন কিনা ত্রিপুরাবাসী।