লখনউ: রাজ্যের নানা জায়গা থেকে গরু, গবাদি পশুমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসার পর আট প্রশাসন কর্তার সাসপেনশনের নির্দেশ দিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। শনিবার চিত্রকূট জেলার ছেরিয়া খুরদ গ্রামের বিষাক্ত পশুখাদ্য খেয়ে ১৬টি গবাদি পশুর মারা যাওয়ার পর তত্পর উত্তরপ্রদেশ সরকার।
রবিবার রাতে জারি আদেশানুসারে, সাসপেন্ড হওয়া কর্তাদের মধ্যে আছেন মিল্কিপুরের (অযোধ্যা জেলা) ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার, অযোধ্যার ডেপুটি চিফ ভেটেরিনারি অফিসার, মিল্কিপুরের পালিয়ামাফির গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসার, অযোধ্যা পুর নিগমের দুই পশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সাসপেন্ড হয়েছেন মির্জাপুরের মুখ্য ভেটেরিনারি অফিসার ডঃ এ কে সিংহ, মির্জাপুরের এক্সিকিউটিভ অফিসার মুকেশ কুমার ও মির্জাপুর পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার রাম উপাধ্যায়ও। কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে অযোধ্যার জেলাশাসক, মুখ্য ভেটেরিনারি অফিসার ও মির্জাপুরের জেলাশাসককে।
উত্তরপ্রদেশের জনৈক সরকারি অফিসার বলেন, রাজ্যে গবাদি পশুমৃত্যুর খবর মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ৮ কর্তাকে সাসপেন্ড করেছেন, তিন অফিসারকে শোকজও করা হয়েছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষী অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও প্রয়াগরাজের ডিভিশনাল কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
লখনউ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, লখনউ পুরসভা ও উত্তরপ্রদেশ বিকাশ পরিষদকে একযোগে কাজ করতে, পথেঘাটে ঘুরে বেড়ানো গবাদি পশুকে কানহা উপবনে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রচার চালাতেও নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মানিকপুর সঙ্গমলাল জানান, গবাদি পশুরা পশুখাদ্যের জন্য জঙ্গলে ঢুকেছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর ৬টি মহিষ সহ ১৬টি গবাদি পশু অসুস্থ হয়ে মারা যায়। ময়নাতদন্তে স্পষ্ট, বিষাক্ত খাদ্যের বলি হয়েছে ওরা।