পটনা: খামোশ হওয়ার নামই নিচ্ছেন না শত্রুঘ্ন সিংহ। এবার তিনি দাবি করেছেন, বিজেপিরই সিংহভাগ সদস্যের দাবি ছিল, রামনাথ কোবিন্দ নন, রাষ্ট্রপতি হন লালকৃষ্ণ আডবাণী। কিন্তু তাঁদের কথা রাখা হয়নি।

আজ পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তিতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন শত্রুঘ্নও। কিন্তু পটনার এই ৪ বারের সাংসদকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই করা হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে শটগান সিংহ দাবি করেছেন, বিজেপির ৮০ শতাংশ চেয়েছিলেন আডবাণী রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হন। আডবাণীকে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন নিজের ফ্রেন্ড, ফিলোজফার, গাইড, গুরু ও সর্বশেষ নেতা বলে। রামনাথ কোবিন্দকে বিজেপি রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করার কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে শত্রুঘ্ন টুইটারে আডবাণীর সমর্থনে প্রচারও চালান। আডবাণীর এতে সমর্থন ছিল কিনা জানতে চাইলে তাঁর জবাব, আগে থেকে ঠিক করে কিছু হয়নি।

নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জমানায় দলে কোণঠাসা হয়ে পড়া শত্রুঘ্ন বলেছেন, বিজেপিই তাঁর প্রথম, শেষ ও একমাত্র পার্টি। যখন সংসদে বিজেপির মাত্র ২ জন সাংসদ ছিল তখন তিনি যোগ দেন এতে। এখন দল ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে মোদী-শাহর দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর অভিযোগ, দলের টু ম্যান আর্মি অবহেলা করছে তাঁকে।

শত্রুঘ্ন বলেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি কিন্তু মোদী তাঁকে সময় দেননি। যদিও তাঁর ছেলের বিয়েতে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন তাই তিনি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। পটনার সাংসদের অভিযোগ, ২ বছর আগে বিহার বিধানসভা ভোটের সময়েও তিনি অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অথচ তিনিই একমাত্র সাংসদ, যাঁর লোকসভা ভোট প্রচারে প্রধানমন্ত্রী বা কোনও তারকাকে ডাকার দরকার পড়েনি। এমনকী তাঁর মেয়ে অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিংহকেও নয়। তবুও তিনি জিতেছিলেন, সবথেকে বেশি ভোট শেয়ারে।

৭১ বছরের শত্রুঘ্ন ২০১৩-য় আডবাণীর নেতৃত্বে বিজেপির একটি গোষ্ঠীর অংশ ছিলেন, যাঁরা মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার বিরোধিতা করেন। সেই দাবি খারিজ হয়ে যায়, মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি বিপুল ভোটে জিতে আসে ২০১৪ লোকসভা ভোটে।