পুলিশ সূত্রে খবর, খুন হওয়া শিশুর নাম কাবিলান (৯)। তার বাবা কার্তিকেয়ন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার এবং মা মঞ্জুলা সরকারি কর্মী। তাঁদের বাড়ি চেন্নাইয়ের এমজিআর নগরে। অভিযুক্ত প্রতিবেশী নাগরাজের সঙ্গে মঞ্জুলার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছিল। মাসখানেক আগে একটি রিয়েল এস্টেট সংস্থার মার্কেটিং ম্যানেজার নাগরাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরও করেন কার্তিকেয়ন। দিনদশেক জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পান নাগরাজ। এরপরেই তিনি শিশুটিকে খুন করার ছক কষেন।
প্রায়ই টিউশন থেকে ফেরার সময় কাবিলানকে নিয়ে আসতেন নাগরাজ। বুধবারও তিনি যান। তবে নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুক্ষণ আগেই। ছোট্ট কাবিলান অবশ্য কিছুই সন্দেহ করেনি। সে খুশিমনেই নাগরাজের সঙ্গে বাড়ির পথ ধরে। কিন্তু বাড়ি না গিয়ে কাবিলানকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়ার পর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে যান নাগরাজ। সেখানেই তিনি একটি ভাঙা কাচের বোতল দিয়ে শিশুটির গলা কেটে দেওয়ার পর লোহার রড দিয়ে মেরে মাথা চুরমার করে দেন।
ছেলে বাড়ি না ফেরায় বুধবার সন্ধেবেলাই পুলিশে খবর দেন কার্তিকেয়ন। একটি বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কয়েকঘণ্টা পরেই গ্রেফতার হন নাগরাজ। কার্তিকেয়নের অভিযোগ, তাঁর সম্পত্তি মঞ্জুলার নামে লিখিয়ে নেওয়ার জন্যই কাবিলানকে খুন করেছেন নাগরাজ। যদিও তদন্তকারীদের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে সম্পত্তির কোনও যোগ নেই।