কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মইলি অবশ্য রাহুলের দলের শীর্ষে আরোহনের পরিপ্রেক্ষিতে দিনকয়েক আগে বলেন, সনিয়া সভানেত্রী না থাকলেও দলকে প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে যাবেন, পথ দেখাবেন। তিনি সনিয়ার নেতৃত্বগুণের প্রশংসা করে ২০০৪ সালে যেভাবে তিনি জোট গঠনের প্রক্রিয়া সামলেছিলেন, ২০০৯ সালেও কিয়দাংশে ইউপিএ সরকার গঠনে ভূমিকা নিয়েছিলেন, তার উল্লেখ করেন মইলি। বলেন, সবাইকে জোটবদ্ধ করার ব্যাপারে নিজের সবচেয়ে সেরা ক্ষমতা দেখিয়েছিলেন উনি।
এদিন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা সনিয়ার জনজীবন থেকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। সনিয়ার আজকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, উনি নেতৃত্ব রাহুলের হাতে তুলে দিলেও তাঁর প্রজ্ঞা দলকে পথকে দেখিয়ে নিয়ে যাবে। সুরজেওয়ালার ট্যুইট, মিডিয়ার বন্ধুদের আন্তরিক ভাবে অনুরোধ করব, জল্পনায় বিশ্বাস করবেন না। সনিয়া গাঁধী জাতীয় কংগ্রেসের সভানেত্রী পদ থেকে অবসর নিয়েছেন, রাজনীতি থেকে নয়। তাঁর আশীর্বাদ, প্রজ্ঞা, কংগ্রেসের আদর্শের প্রতি অবিচল দায়বদ্ধতা আমাদের সামনে আলোর দিশারী হয়ে থাকবে।
গত সোমবার ৪৭ বছরের রাহুল সর্বসম্মতিক্রমে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে সরকারি ভাবে ঘোষণা করে কংগ্রেস। ১৯ বছর দলের সর্বোচ্চ পদে ছিলেন সনিয়া।
২০১৩-র জানুয়ারি দলের সহ সভাপতি হন রাহুল। সোমবার রাহুলের সভাপতি নির্বাচনের খবর বেরনোর পর শীর্ষ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, সারা দেশের রাহুল গাঁধীর কাছে অনেক প্রত্যাশা। নির্বাচিত হওয়ার আগেই নিজের ক্ষমতা দেখিয়েছেন তিনি। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি সচেতন।