নয়াদিল্লি: আধার-তথ্য পুরোপুরি সুরক্ষিত ও নিরাপদ রয়েছে বলে ফের দাবি করল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই)।


তারা জানিয়েছে, আধার নম্বর কোনও গোপন নম্বর নয়। যদি কোনও ব্যক্তি বিশেষ পরিষেবা বা সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা নিতে চান, তাহলে অনুমোদিত সংস্থাগুলির সঙ্গে বা কাছে তা প্রকাশ করা হয়।


রবিবার, তথ্য জানার অধিকারের আওতায় করা প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ইউআইডিএআই জানায়, বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ কেন্দ্রীয়, রাজ্য মিলিয়ে অন্তত ২১০টি সরকারি ওয়েবসাইটে আধার-তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আরটিআই-তে দাবি করা হয়, যে তথ্য প্রকাশিত রয়েছে, তাতে কার্ড-হোল্ডারদের নাম, ঠিকানা, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং আধার নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।


এই প্রেক্ষিতে এদিন আধার-কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, আধার-তথ্য পুরোপুরি সুরক্ষিত ও নিরাপদ রয়েছে। ইউআইডিএআই-এর তরফে কোনও তথ্য ফাঁস হয়নি। আধার-সার্ভার বা ডেটাবেস থেকে এই তথ্য সরবরাহ করা হয়নি। তাদের দাবি, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত তৃতীয় পক্ষের থেকে এই তথ্য জোগাড় করা হয়েছে।


সোমবার ইউআইডিএআই জানিয়েছে, আধার-তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, এই খবর শুনেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট, সরকারি মন্ত্রক, দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে তথ্য সরানোর নির্দেশ দেয় আধার-কর্তৃপশ্র এবং কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। একইসঙ্গে, সতর্ক করা হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এধরনের গাফিলতি না ঘটে।


ইউআইডিএআই-এর আশ্বাস, কেবলমাত্র তথ্য ফাঁস হওয়ায় কোনও কার্ড-হোল্ডারের ক্ষতি হবে না। কারণ, বায়োমেট্রিক তথ্য সম্পূর্ণ অন্যত্র সর্বোচ্ত পর্যায়ের সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে তাকে এনকোড করা হয়েছে। ফলে, শুধু তথ্য দিয়ে কোনও লাভ নেই। কারণ, বায়োমেট্রিক অথেন্টিফিকেশন ছাড়া কোনও লেনদেন সম্ভব নয়। যদিও, তারা জানিয়েছে, তথ্য যাতে বাইরে প্রকাশ না পায়, তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।