নয়াদিল্লি: আরুষি-হেমরাজ জোড়া খুনের মামলায় ডেন্টিস্ট দম্পতি রাজেশ ও নুপূর তলোয়ারের রেহাই পাওয়ার রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানালেন তলোয়ারদের বাড়ির পরিচারক হেমরাজের স্ত্রী। গত ১২ অক্টোবর রাজেশ, নুপূরকে খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট, যে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে তাঁদের দোষী বলা যায় না, এই যুক্তি দেখিয়ে। সেই রায়ের বিরুদ্ধে এটিই প্রথম আবেদন সুপ্রিম কোর্টে। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের এক আদালত এই মামলায় ২০১৩-র ২৬ নভেম্বর তলোয়ার দম্পতিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাঁদের খালাস করে রায় দেওয়ার আগে দুজনে গাজিয়াবাদের দসনা জেলে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা খাটছিলেন।
২০০৮ সালে তলোয়ারদের নয়ডার বাসভবনে নিজের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ১৪ বছরের আরুষিকে। প্রথমে এই খুনে জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়েছিল ৪৫ বছরের গৃহভৃত্য হেমরাজকে। তাঁর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে দুদিন বাদে হেমরাজের দেহও পাওয়া যায় বাড়ির বারান্দায়।
জোড়া খুনের ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত ঘিরে নানা প্রশ্ন ওঠায় রাজ্যের সে সময়কার মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন। সেইমতো তদন্তের ভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।