গাজিয়াবাদ: চার বছর কারাবন্দি থাকার পর অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেলেন রাজেশ ও নূপুর তলোয়ার। সোমবার, দসনা জেল থেকে ছাড়া পান নিহত আরুষির বাবা-মা।
গত সপ্তাহেই, এই দন্তবিশেষজ্ঞ দম্পতির বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে তাঁদের বেকসুর খালাস করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এদিন দুই আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে দসনা জেলে যান রাজেশের ভাই দীনেশ তলোয়ার। জেল থেকে বেরিয়ে পুলিশি প্রহরায় নয়ডার জলবায়ু বিহার অঞ্চলে নূপুরের বাবার বাড়ি যায় তলোয়ার-দম্পতি। একই অঞ্চলে রয়েছে তলোয়ারদের ফ্ল্যাট। যেখানে ২০০৮ সালের ১৬ মে খুন হয় আরুষি। কিন্তু, এই ফ্ল্যাটটি বর্তমানে ভাড়ায় দেওয়া হয়েছে।
মুক্তির পর রাজেশ ও নূপুরের কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও তলোয়ারদের আইনজীবী তনবীর আহমেদ মীর বলেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে প্রমাণিত, দুজনই নিরপরাধী। এটাই ওদের প্রাপ্য ছিল। তিনি যোগ করেন, দুজনকে ফাঁসানোর জন্য একটা ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তবে, মুক্তি পেলেও এখনই মামলা থেকে রেহাই মিলছে না। জানা গিয়েছে, রাজ্য যদি উচ্চতর আদালতে আবেদন করে, সেক্ষেত্রে হাজিরা দিতে হবে আরুষির বাবা-মাকে। এরজন্য তাঁদের সিওরটি দাখিল করতে হয়েছে।
একমাত্র মেয়ে আরুষি ও পরিচারক হেমরাজের হত্যা দায়ে দুজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছিল সিবিআই আদালত। সেই রায়ের ফলে, ২০১৩ সাল থেকেই দাসনা জেলে বন্দি ছিলেন রাজেশ ও নূপুর। এই সময়ে তাঁরা জেল হাসপাতালের অকেজো হয়ে পড়া দন্ত-বিভাগকে পুনরুজ্জীবিত করে চিকিৎসা শুরু করেন। প্রতিদিন তাঁরা রোগী দেখতেন। সেই তালিকায় বন্দিরা ছাড়াও ছিলেন জেল আধিকারিক, পুলিশকর্মী ও তাঁদের পরিবার।