নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদীকে ‘দানব’ বলে দেখানো ভুল। কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা জয়রাম রমেশের সুরে এমনই অভিমত জানালেন দলের আরেক শীর্ষ নেতা অভিষেক মনু সিংভি। প্রধানমন্ত্রীর কাজকে ইস্যুর ভিত্তিতে বিচার করার কথা বলেছেন তিনি।
বুধবার একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে ইউপিএ জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, মোদীর উন্নয়ন মডেল ‘পুরোটাই ব্যর্থতার কাহিনি নয়’। সেইসঙ্গে তাঁর কাজকর্মকে স্বীকৃতি না দিয়ে, সবসময় তাঁকে দানবীয় বলে তুলে ধরে সুবিধা হবে না বলেও অভিমত জানান রমেশ। তিনি এও বলেন, মোদির কাজকে, ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে যেসব কাজের জন্য তিনি ৩০ শতাংশের ওপর ভোটদাতার সমর্থনে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছেন, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার সময় হয়েছে।
সিংভি আজ ট্যুইট করে রমেশের অবস্থান সমর্থন করেন। লেখেন, সবসময়ই বলেছি, মোদীকে দানব বলে তুলে ধরা ভুল। তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, তাঁর একবগ্গা বিরোধিতায় আসলে তিনিই লাভবান হন। সিংভি আরও বলেছেন, ভাল, খারাপ, প্রভাবহীন, কাজকর্ম সর্বদা এমনই হয়। কাজের বিচার হওয়া উচিত ইস্যুর ভিত্তিতে, ব্যক্তিবিশেষের ভিত্তিতে নয়। উজ্জ্বলা স্কিম অবশ্যই অন্য অনেক ভাল কাজের মধ্যে একটি। মোদীর প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা কতটা সফল, তার উল্লেখ করেছেন রমেশও। মোদীর ভাল কাজের প্রশংসা হওয়া উচিত বলে অভিমত তাঁর।


সিংভিই শুধু নন, শশী তারুরও বলেছেন, আমি গত ৬ বছর ধরে বলে চলেছি, নরেন্দ্র মোদি ভাল কিছু বললে বা করলে তার প্রশংসা করা উচিত। তাতে যখনই তিনি ভুল করবেন, তাঁর সমালোচনা করা যুক্তিযুক্ত, বিশ্বাসযোগ্য হবে। যে মতের জন্য আমি সমালোচিত হয়েছি, বিরোধী শিবিরের নেতাদের তাকে সমর্থন করার আহ্বান জানাই।
সিংভির মত সমর্থন করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ও বলেছেন, খুবই সত্যি কথা। দেশগঠন এক চলন্ত প্রক্রিয়া যা একের পর এক সরকার এগিয়ে নিয়ে চলে। আশা করি মোদী ও তাঁর টিম এটা উপলব্ধি করবেন। পন্ডিত নেহরুকে ছোট করার চেষ্টা না করে তাঁরা তাঁর ও কংগ্রেসের অবদান স্বীকার করে তা এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সমালোচনা হোক নীতির, ব্যক্তির নয়।
যদিও রমেশের সমালোচনা করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে কে তেওয়ারির অভিমত, কংগ্রেসের কিছু ‘আত্মপ্রচারকারী’ নেতা দলকে ‘হাইজ্যাক করেছে’ন, এমন সব মন্তব্য করছেন, যাতে দলের স্বার্থরক্ষা হয় না।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ৩৭.৪ শতাংশ ভোট ও ৩০৩টি আসন পেয়েছে একাই। এনডিএ সামগ্রিক ভাবে মোট ভোটের প্রায় ৪৫ শতাংশ পেয়েছে।