নয়াদিল্লি: দেশের দশ রাজ্যে ভয়াবহ জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এবিপি আনন্দ-এর করা এক তদন্ত রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, দেশের দশটি রাজ্য এখন তীব্র জলাভাবে ভুগছে। জল শুকিয়ে খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, বুন্দেলখণ্ড (উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে যে অঞ্চল পড়েছে) এবং তেলঙ্গানা। এই সমস্ত রাজ্যে পানীয় জলের এতটাই অভাব দেখা দিয়েছে যে এখন সেখানে জলাধার পাহারায় বসানো হয়েছে বন্দুকধারীদের। অনেক জায়গায় আবার পুলিশি নজরদারিতে রয়েছে পানীয় জলের কেন্দ্রগুলি।


বুন্দেলখণ্ড: বুন্দেলখণ্ড-এর পরিস্থিতি মারাত্মক জটিল। সেখানে এমএনআইজিএ-র অধীনে কেউ কোনও কাজ পাচ্ছে না। গ্রামগুলিতে শুধুমাত্র বৃদ্ধ ও মহিলারা এখন পড়ে রয়েছে। পুরুষরা কাজের সন্ধানে গ্রামের বাইরে চলে গিয়েছে। বুন্দেলখণ্ডের টিকামগড় এলাকায় পুরুষরা বন্দুক নিয়ে পানীয় জলের উৎসস্থলগুলি পাহারা দিচ্ছে। কারণ সেখানে ৫২ দিন বৃষ্টি হওয়ার কথা। সেখানে মাত্র ২৩ দিন বৃষ্টি হয়েছে।

মারাথাওয়াড়া: মারাথাওয়াড়ার অবস্থা সবচেয়ে সঙ্কটজনক। মানুষ এক বিন্দু জলের জন্যেই লড়াই করছে সেখানে। জল নিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না বেধে যায়, তারজন্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে লাটুরে। প্রতি সপ্তাহে দুশো লিটার করে জল সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে। জলাভাবে মানুষ ৮ দিন ধরে টানা কাপড়-জামা পরিস্কার করছে না। ট্যাঙ্কারে থাকা ১২ হাজার লিটার জল ১০ মিনিটে শেষ হয়ে যাচ্ছে।

কর্নাটক: বিদারে এক ঘড়া জল ভর্তি হতে লাগছে এক ঘন্টা। আধ বালতি জলে স্নান সারছে মানুষ। নরসিংহ মন্দিরের দরজা ভক্তদের জন্যে বন্ধ রাখা হয়েছে, কারণ সেই জলসঙ্কট। উত্তর কর্নাটকের ১২ জেলায় ভয়াবহ খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গত তিন বছরে।

ছত্তীসগড়: ছত্তীসগড়ের বলরামপুরে মানুষ পাহারে উঠে মাইলের পর মাইল পথ পের হচ্ছেন শুধুমাত্র পানীয় জল সংগ্রহের জন্যে। এই রাজ্যের পাঁচ শহরে তীব্র খরা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

তেলঙ্গানা: গত তিন বছর ধরে ভয়াবহ জলাভাবে ভুগছে তেলঙ্গানা। সেখানে মাটির তলার জলও এত নীচে নেমে গেছে যে পাম্পগুলো একটাও কাজ করছে না।