নয়াদিল্লি: কৃষি সংক্রান্ত বাণিজ্যে প্রবেশের তাদের কোনও সম্ভাবনা নেই। চুক্তিভিত্তিক চাষ বা কর্পোরেট ফার্মিংয়েও তারা যেতে চায় না। জানিয়ে দিল রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কর্পোরেট ফার্মিংয়ের জন্য তারা কখনও জমি কেনেনি বলে রিলায়েন্স একই সঙ্গে বলেছে, ভবিষ্যতেও এ ধরনের পদক্ষেপ করার সম্ভাবনা নেই।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এক বিবৃতিতে বলেছে, রিলায়েন্স রিটেল লিমিটেড (RRL) ও রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেড (RJIL) অথবা তাঁদের মূল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শাখা হিসেবে স্বীকৃত কোনও সংস্থা কোনও ধরনের কর্পোরেট ফার্মিং কখনও করেনি, চুক্তি চাষও করেনি, এ ধরনের ব্যবসায় ঢোকার কোনও পরিকল্পনাও নেই।


পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে দায়ের করা এক পিটিশনে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বলেছে, যেভাবে পঞ্জাবে তাদের একের পর এক টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন, এ ধরনের গুন্ডামি এখনই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হোক। এর ফলে তাদের হাজার হাজার কর্মীর জীবন বিপন্ন হচ্ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে, কাজ ব্যাহত হয়েছে, সেলস ও পরিষেবা সংক্রান্ত আউটলেটগুলিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা বা দেশের অন্য কোথাও রিলায়েন্স বা তাদের কোনও শাখা সংস্থা সরাসরি বা ঘুর পথে কর্পোরেট বা কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের জন্য কখনও কোনও কৃষি জমি কেনেনি, পরিকল্পনাও নেই কোনও।


রিলায়েন্স আরও বলেছে, কৃষকদের থেকে অন্যায় সুবিধে পেতে কখনও দীর্ঘমেয়াদি কোনও ক্রয় চুক্তিতে ঢোকেনি তারা, তাদের কৃষি পণ্য সরবরাহকারীরা কখনও নির্ধারিত মূল্যের কম দাম দিয়ে কৃষকদের থেকে কিছু কেনেননি, ভবিষ্যতেও কিনবেন না।

পঞ্জাবে রিলায়েন্স জিওর দেড়হাজারের বেশি টেলিকম টাওয়ার ভাঙচুর করেছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা। এর ফলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। জানা গিয়েছে, পঞ্জাবের বহু অংশে টেলিকম সিগন্যালের টাওয়ারগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে, কাটা হয়েছে কেবল।

গত মাসেই রিলায়েন্স অভিযোগ করে, তাদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতী এয়ারটেল এবং ভোডাফোন আইডিয়া কৃষক আন্দোলনকে সামনে রেখে তাদের নেটওয়ার্কের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। ভিত্তিহীন দাবি, বলেছে ভারতী এয়ারটেল।

Disclaimer: এটি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির ওপর ভিত্তি করে লেখা স্পনসর্ড প্রতিবেদন