নয়াদিল্লি:  ৮৫ বছরের বৃদ্ধা এম.ভি সীতালক্ষ্ণীকে প্রসন্ন অঞ্জানেয়া স্বামী মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ দশ বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখেছেন বহু মানুষই। এক দশক ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করার পর ওই মহিলা মন্দির ট্রাস্টে প্রসাদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ আড়াই লক্ষ টাকা দান করে নয়া নজির গড়লেন।


প্রসঙ্গত, প্রতি বছর হনুমান জয়ন্তীর সময় বিশাল সংখ্যক ভক্তের সমাগম ঘটে মন্দির চত্বরে। ভক্তরা দেবতা দর্শনের পরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সীতালক্ষ্ণীর কাছে যান আশীর্বাদ নিতে। এবার সেই আশীর্বাদ থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়েই সীতালক্ষ্ণী মন্দির তহবিলে বিশাল অঙ্কের টাকা দান করলেন ওই বৃদ্ধা। ভাই এবং ভাইয়ের বউয়ের সংসারে থাকলেও, সীতালক্ষ্ণী কখনওই কারও কাছে টাকার জন্যে হাত পাতেননি। তাই যখন লোকের বাড়ি আর কাজ করতে পারেননি সিতা, তখনই তিনি মন্দিরের বাইরে বসে ভিক্ষাবৃত্তি করা শুরু করেন।

সীতালক্ষ্ণী জানিয়েছেন, মন্দিরের দর্শনার্থীরা তাঁকে যে টাকাই দিক না কেন, সেই টাকাই তিনি ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রেখে দেবেন। ধীরে ধীরে মন্দির তহবিলে দান করে দেবেন। ওই বৃদ্ধার দাবি, তাঁকে ভগবান দেখছেন, তাঁর টাকার কোনও প্রয়োজন নেই।

এই বৃদ্ধার কর্মকাণ্ড থেকে একটি বিষয় পরিস্কার মানুষ সত্যিকারের বড়লোক হয় তাঁর কাজ দিয়ে। আর সবকিছুই থাকে কালের নিয়মে।