মুম্বই: তাঁর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার পরের দিন টুইট্যারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। গায়কের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় এই সাইটটি ‘জনগণের কণ্ঠস্বর’ দমিয়ে রাখতে চাইছে।
মহিলাদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর ও আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠায় মঙ্গলবার অভিজিতের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করে মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইট্যার। অভিজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জেএনইউ পড়ুয়া তথা সমাজকর্মী শেলা রশিদের একটি টুইটকে ‘রিটুইট’ করে গায়ক দাবি করেন, ওই মহিলা একটি মধুচক্র চালান।
এই প্রেক্ষিতে অভিজিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন শেলা। পাশাপাশি, গায়কের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় অন্যান্য নেটিজেনরাও। অভিযোগ করা হয় টুইটার সংস্থাকে। যার পরই মঙ্গলবার, অভিজিতের অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়।
২৪-ঘণ্টার মধ্যে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বুধবার অভিজিৎ বলেন, টুইট্যার হল রাষ্ট্র-বিরোধী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-বিরোধী এবং হিন্দু-বিরোধী। তিনি যোগ করেন, আমরা কেবলমাত্র গায়ক নই। আমরা দেশের কণ্ঠস্বরও। রাষ্ট্রবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার জন্যই আমাদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।
বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়া অভিজিৎ দক্ষিণপন্থী সমর্থক হিসেবে পরিচিত। ফলত, সোশ্যাল মিডিয়ায় মুক্তকণ্ঠীদের সঙ্গে তাঁর বারংবার সংঘাত লাগে। অতীতেও, বিভিন্ন রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে টুইট্যারে তাঁর মন্তব্য ঘিরে বিস্তর জলঘোলা ও বিতর্ক হয়েছে।