মুম্বই:  শুক্রবার গোটা দেশ দেখেছিল মুম্বইয়ের এক ট্র্যাফিক পুলিশ কীভাবে সাত মাসের শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় এক মহিলার গাড়ি টানতে টানতে নিয়ে গিয়েছিল। পথচলতি মানুষ একাধিকবার ওই ট্র্যাফিক কন্সটেবলকে গাড়ি থামানোর জন্যে অনুরোধ করেন। কারণ, ওই অবস্থায় শিশুটির কিছু হয়ে যেতেও পারত। কিন্তু কোনও কথাতেই কার্যত কর্ণপাত করেননি ওই কন্সটেবল। এভাবে একজন মহিলাকে হেনস্থা করার জন্যে অভিযুক্ত কনস্টবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটে, সেই জন্যে তত্পর মুম্বই পুলিশ।

মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী দিনে পুলিশরা মহিলাদের সঙ্গে কেমন আচরণ করবে, সেবিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মহিলা এবং বাচ্চাদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হবে, সেজন্যে কিছু নিয়মবিধিও তৈরি করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যেও পুলিশের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে মনে করেন মুম্বই পুলিশের প্রবীণ আধিকারিকরা।

মালাডের ঘটনায় নিজেদের অধঃস্তন সমস্ত পুলিশকর্মীদের সঠিক আচরণ বিধির এক নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় সোমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।

প্রসঙ্গত, এই ঘটনার দ্বিতীয় একটি ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, শিশুটি প্রথমে গাড়ির বাইরে পরিবারের অন্য এক সদস্যের কাছে ছিল। কিন্তু যখনই পুলিশ গাড়িটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তখনই বাচ্চাটিকে ভেতরে বসিয়ে নেওয়া হয়। তারপরই পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে আসে।