নয়াদিল্লি: সংবিধান, গণতন্ত্র ও সেনাবাহিনীর পর দেশবাসীকে সুরক্ষিত রাখার কাজ করে আরএসএস। সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে টি থমাস এ কথা বলেছেন। ধর্ম থেকে ধর্মনিরপেক্ষতাকে আলাদা করে দেখা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।


কেরলের কোট্টায়ামে আরএসএসের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে থমাস বলেন, দেশকে জরুরি অবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য কোনও সংগঠনকে যদি কৃতিত্ব দিতে হয়, তবে তাঁর মতে, সেই কৃতিত্ব আরএসএসের প্রাপ্য। সঙ্ঘ তার স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে দেশরক্ষার মূল্যবোধ বপণ করে। তাঁর কথায়, সাপের বিষ থাকে নিজেকে অন্যের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য। তেমনই শারীরিক শক্তিতে আরএসএসের গুরুত্বদানও আক্রমণের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে। তারা যে শারীরিক প্রশিক্ষণ নেয় তার উদ্দেশ্য দেশ ও সমাজকে হামলার হাত থেকে বাঁচানো বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেছেন, যদি তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ভারতে মানুষ সুরক্ষিত কেন, তবে তিনি কারণ হিসেবে বলবেন, দেশের সংবিধান, গণতন্ত্র ও সেনাবাহিনীর কথা। আর চতুর্থ শক্তি হিসেবে উঠে আসবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের নাম। কারণ তাদের শক্তিশালী সংগঠন জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়েছিল, ইন্দিরা গাঁধী বুঝেছিলেন, বেশিদিন ওই পরিস্থিতি বজায় রাখা যাবে না।

ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বলতে গিয়ে থমাস বলেন, সংখ্যালঘুরা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন নিজেদের সুরক্ষার জন্য কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার আসল অর্থ তার থেকে অনেক গভীর। এর অর্থ হল সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে প্রত্যেক ব্যক্তির সম্মান রক্ষা করা।

সংখ্যালঘুরা তখনই নিজেদের বিপন্ন মনে করেন, যখন যে অধিকার সংখ্যাগুরুদেরও নেই, সেই অধিকার তাঁরা দাবি করতে শুরু করেন। মন্তব্য করেছেন থমাস।