সোনা পাওয়া যাওয়ার খবর শোনামাত্রই সমুদ্রতটে দেখা যায় জনজোয়ার। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় ৫০-র বেশি লোক কুড়িয়ে পেয়েছেন সোনার কুচি। যে পরিমাণ সোনার অংশ তারা পেয়েছেন তার বাজারমূল্য হবে সাড়ে তিন হাজার টাকার কাছাকাছি।
অন্ধ্রের পূর্ব গোদাবরী জেলার উপ্পাদা গ্রাম এমনিতেই কুখ্যাত সমুদ্রের তাণ্ডবের জন্য। তবে সেখানকার তৈরি সিল্কের শাড়ি গোটা দেশ খ্যাত। আপাতত যদিও সোনার কুচির জেরে যা সংবাদ শিরোনামে।
হঠাৎ এরকম সোনার কুচি পাওয়ার উৎসটা ঠিক কী। সেভাবে নির্দিষ্টভাবে কিছু জানা না গেলেও স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে প্রবল ক্ষতিগ্রস্থ হয় উপ্পাদা জেলার সমুদ্রতট লাগোয়া কয়েকটি মন্দির-বাড়ি। সেখানেই যে সোনা ছিল, তাই হয়তো ছোট ছোট অংশ হয়ে সমুদ্রতটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বলেই মনে করছেন তারা।
স্থানীয় সাব ইন্সপেক্টর লোভু রাজু বলেছেন, ‘বাড়়ি বা মন্দির তৈরির আগে ভিত গঠনের সময় অল্প সোনার কুচি মাটির নীচে পুঁতে রাখাই রেওয়াজ এখানে। ঘূর্ণিঝড় নিভারের প্রকোপে সমুদ্রতটের একাধিক বাড়ি-মন্দির ভেঙে পড়েছে। মনে করা হচ্ছে সেখানেই থাকা সোনা এভাবে সমুদ্রতটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে।’
সোনা পাওয়ার খবর পেয়ে জনজোয়ার সমুদ্রতটের উদ্দেশ্যে ছুটে গেলেও অল্প সংখ্যক সৌভাগ্যবানই পেয়েছেন সোনার খোঁজ। বছরখানেক আগে উপ্পাদা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের কোনাপ্পা পেটাতেও ঘূর্ণিঝড়ে এক বাড়ি ভেঙে পড়ার পর বিপুল সংখ্যক মূল্যবান মুদ্রা এভাবেই সমুদ্রতটে ছড়িয়ে পড়েছিল।