বেঙ্গালুরু: মেয়ের বিয়েতে খরচা করেছেন ৫০০ কোটি, সোমবার বিজেপি নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রী জি জনার্দন রেড্ডির অফিসে অভিযান চালাল আয়কর দফতর।
কর্ণাটকের বেল্লারিতে রেড্ডির এএমসি এবং ওএমসি অফিসে হানা দেয় আয়কর বিভাগের পাঁচ আধিকারিকের একটি দল। এছাড়াও রেড্ডির মেয়ের বিয়েতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ অফিসেও হানা দেয় আয়কর বিভাগ।
আয়কর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,  সংস্থার বেঙ্গালুরুর ৭ টি জায়গায় এবং হায়দরাবাদের ৩ টি জায়গায় হানা দিয়েছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা। আয়কর বিভাগ জানিয়েছে, বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করে আয়োজিত এই বিয়ের অনুষ্ঠানের খবর পেয়েই তল্লাশি চালায় তারা। চেক করা হয় অ্যাকাউন্ট বুক, পেমেন্ট রিসিপ্ট, কনট্রাক্ট পোর্টফোলিও। অভিযান চালানো হয়েছে সার্ভিস প্রভাইডার সংস্থার অফিসেও, যারা বিয়ে উপলক্ষ্যে রাজকীয় ব্যাবস্থা করেছিল। আয়োজন করেছিল বিশেষ সুইস তাবু, খুব দামি চামচের সেট, প্রচুর ব্যয়বহুল খাবারদাবার, দামি দামি ঘর সাজানোর জিনিসপত্র প্রভৃতি। ওই সংস্থার অফিসে এবং মালিকের বাড়িতে এরকম দামি জিনিস কতপরিমানে মজুত রয়েছে, সেগুলি আর কোন্ বিয়েতে ব্যবহৃত হয়েছে তার রেকর্ডও খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতর। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সংস্থার কর্মীদেরও।
প্রসঙ্গত, কালো টাকায় প্রধানমন্ত্রীর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নিয়ে আলোচনা যখন তুঙ্গে, সেই সময়েই নিজের মেয়ের বিয়েতে ৫০০ কোটি টাকা খরচের অভিযোগে শিরোনামে উঠে আসে এই বিজেপি নেতার নাম। রেড্ডির মেয়ে ব্রাহ্মণীর সঙ্গে বিয়ে হয় রাজীব রেড্ডি নামে এক ব্যবসায়ীর। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অন্যত্র হিরে ও সোনার খনি রয়েছে তাঁর। বিয়ের অনুষ্ঠান যেখানে আয়োজিত হয়, সেখানে প্যালেস গ্রাউন্ডসে একটা গোটা নকল গ্রাম বানানো হয়। সবটা জুড়েই রাজকীয় আয়োজন।

কিন্তু কী ভাবে আয়কর দফতরের নজর এড়িয়ে এত কিছু করলেন রেড্ডি? এ নিয়ে আয়কর দফতরে অভিযোগ জানান এক আরটিআই কর্মী। বিষয়টি রাজ্যসভাতেও ওঠে। শেষ পর্যন্ত নড়েচড়ে বসে আয়কর দফতর। রেড্ডি কী ভাবে বিয়েতে এই বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করছেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে তারা।