নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের চাঞ্চল্যকর দাবির পর কংগ্রেসকে ২৬/১১-র মুম্বই সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিশানা করল বিজেপি। পাকিস্তানের যুক্ত থাকার কথা শরিফ কার্যত স্বীকার করে ফেলায় বিজেপির দাবি, তাহলে এবার কংগ্রেস ক্ষমা চেয়ে বলুক, ওই নাশকতায় আরএসএসকে জড়িয়ে অন্যায় করেছিল।
বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সুধাংশু ত্রিবেদী বলেন, আমি আমাদের বিরোধীদের, কংগ্রেসকে প্রশ্ন করতে চাই, তারা কি তাহলে ক্ষমা চাইবেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা তো সেই বইয়ের আনুষ্ঠানিক প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন যাতে দাবি করা হয়েছে, মুম্বই সন্ত্রাসের পিছনে চক্রান্ত ছিল আরএসএসের?
প্রসঙ্গত, ২০১০-এ কংগ্রেসের তত্কালীন সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ মুম্বইয়ে '২৬/১১ আরএসএস কি সাজিশ?' নামে একটি বই প্রকাশের মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। বইটি লিখেছেন আজিজ বার্নি।
গত সপ্তাহেই পাক সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আজীবন প্রধানমন্ত্রী পদের অযোগ্য ঘোষিত শরিফ পাক সরকারের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে নাশকতা চালাতে অনুমতি দেওয়া উচিত কিনা, প্রশ্ন তোলেন, সংবাদপত্র ডন-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে মেনে নেন যে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়, ২০০৮ এর ২৬ নভেম্বরের মুম্বই হামলার জন্য দায়ী পাক ভূখণ্ডে বেড়ে ওঠা 'রাষ্ট্র-বহির্ভূত লোকজন'। মুম্বই সন্ত্রাসের বলি হয়েছিলেন ১৫০ জনের বেশি।
শরিফ বলেন, সন্ত্রাসবাদীরা তত্পর। ওদের রাষ্ট্র-বহির্ভূত শক্তি বলা হয়। আমাদের কি উচিত ওদের সীমান্ত পেরিয়ে মুম্বই ঢুকে ১৫০ জনকে মেরে ফেলতে দেওয়া ?
বিজেপি মুখপাত্রের দাবি, এটা নরেন্দ্র মোদী সরকারের কূটনৈতিক সাফল্যের জোর যে, ভারত পাকিস্তানকে সব দিকে কোণঠাসা করে ফেলেছে বলেই ওরা এই চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি দিল। তিনি বলেন, শরিফ নিজের মুখেই এতগুলি কথা বলেছেন। সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে মোদী সরকার পাকিস্তানকে কূটনৈতিক স্তরে যে প্রবল চাপে ফেলেছে, লাগাতার প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে, সেটাই পরিষ্কার হয়ে গেল।