নয়াদিল্লি: মোহন ভাগবতকে চাই রাষ্ট্রপতি পদে। সওয়াল কংগ্রেস নেতা সি কে জাফর শরিফের। তাঁর দল রাষ্ট্রপতি পদে সঙ্ঘ প্রধানকে মানতে অস্বীকার করলেও একেবারে উল্টো সুর শরিফের। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে ভাগবতের নামে সমর্থন জানিয়ে তাঁর প্রশংসা করেছেন কর্নাটকের এই শীর্ষ কংগ্রেস নেতা। ভাগবতে আপত্তি কীসে, তাঁর প্রশ্ন।

চিঠিতে তিনি নাকি লিখেছেন, ভারতে বিভিন্ন মতের চিন্তাভাবনা রয়েছে। এরকম বিরাট দেশে সেটাই স্বাভাবিক। শ্রী মোহন ভাগবত হয়তো একটি নির্দিষ্ট ভাবধারার মানুষ, কিন্তু তা বলে তাঁর দেশপ্রেম,  ভারতের মানুষের প্রতি ভালবাসা, দেশভক্তি নিয়ে  কোনও সংশয় নেই। ৮৩ বছর বয়সি শরিফের বক্তব্য একেবারে কংগ্রেসের ঘোষিত অবস্থানের উল্টো। কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেছেন, এটা খুব স্পষ্ট যে, আরএসএসের দর্শন আমরা সমর্থন করি না। আর রাষ্ট্রপতি বাছাইয়ের সময় আমাদের পার্টি অবশ্যই দলের ভিতরে আলোচনা  করবে।

সংখ্যালঘুদের ভাগবতের নামে আপত্তি থাকার কথা নয় বলে অভিমত শরিফের। তিনি বলেছেন, একজন মুসলিম ও সংখ্যালঘু সমাজের মানুষ হিসাবে আমার মত হল, মুসলিমদের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ভাগবতের কথা ভাবা হলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

ভাগবতের নাম রাষ্ট্রপতি পদে প্রথম তুলে চাঞ্চল্য ছড়ান শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। সম্প্রতি তিনি বলেন, ভাগবত একজন প্রভাবশালী নেতা। সংবিধান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান আছে। তাছাড়া তিনি কট্টর জাতীয়তাবাদী। সুতরাং বিজেপি ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করতে চাইলে  ওঁর নাম অবশ্যই ভেবে দেখা উচিত। উনিই সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী হবেন। সঙ্গে সঙ্গে তীব্র আপত্তি তোলে কংগ্রেস।

রাষ্ট্রপতি পদে প্রণব মুখোপাধ্য়ায়ের মেয়াদ শেষ হচ্ছে কিছুদিন বাদেই।

ভাগবত নিজে অবশ্য রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে তিনি নেই বলে জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, সঙ্ঘে যোগ দিয়ে আর সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় আমাদের। সঙ্ঘে এলে আমরা এ ধরনের উঁচু পদে যোগ দিই না। রাষ্ট্রপতি পদের প্রস্তাব এলেও তা নেওয়ার প্রশ্নই নেই, জানিয়ে দেন তিনি।

দেশে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট সেরে ফেলতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রস্তাবেও সায় দিয়েছেন শরিফ। তাঁরও যুক্তি, আলাদা আলাদা সময়ে ভোট হলে অকারণে বেশি  অর্থব্যয় হয়, দেশের উন্নয়নও মার খায়।