এর আগে বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু সংক্রান্ত মামলাটির শুনানি হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের দশম সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও অপর এক বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চে। এটা নিয়েই আপত্তি জানান বিদ্রোহী চার বিচারপতি। এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বিচারপতি মিশ্র। তিনি ভেঙে পড়ে বলেন, তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। তাঁকে অযথা নিশানা করা হচ্ছে। বিচারপতি জে চেলামেশ্বর অবশ্য বলেন, বিচারপতি মিশ্রকে নিশানা করা হচ্ছে না। তবে শেষপর্যন্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চেই সরে গেল এই মামলা।
২০০৫ সালে গুজরাতের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ভুয়ো সংঘর্ষের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার বিচার করছিলেন বিচারপতি লোয়া। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নাগপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। এর কিছুদিন পরেই অন্য এক বিচারপতি প্রমাণের অভাবে বর্তমান বিজেপি সভাপতিকে এই মামলা থেকে রেহাই দেন।
দু’মাস আগে বিচারপতি লোয়ার পরিবারের লোকজন দাবি করেন, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। প্রয়াত বিচারপতির বোন অনুরাধা বিয়ানি অভিযোগ করেন, বিজেপি সভাপতির পক্ষে রায় দেওয়ার জন্য ঘুষ দিতে চাওয়া হয়েছিল। মহারাষ্ট্রের সাংবাদিক বি এস লোন ও সমাজকর্মী তেহসিন পুনাওয়ালা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের করেন।
বিচারপতি লোয়ার ছেলে অনুজ অবশ্য সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন, তাঁর বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক।