তারা এও বলেছে যে, পরমাণু নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ভারত সামিল হলে পারমানবিক, রাসায়নিক, জৈব, ব্যালিস্টিক বা প্রচলিত উপাদান ও প্রযুক্তি-সামগ্রিকভাবে সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ, মারাত্মক ক্ষমতাসম্পন্ন সামগ্রীর রপ্তানির নিয়ন্ত্রণের কাজটি আরও ভাল ভাবে সম্পন্ন করা যাবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্রান্স মনে করে, চারটি বহু স্তরীয় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামোয় (এনএসজি, এমটিসিআর, অস্ট্রেলিয় গোষ্ঠী, ওয়াসেনার বোঝাপড়া) ভারতের থাকা পরমাণু প্রসার রোধে আন্তর্জাতিক প্রয়াসকে জোরদার করবে।
১৯৯৮ সাল থেকে কৌশলগত শরিক হিসাবে গণবিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্র ও সেগুলি নিক্ষেপ করার সিস্টেমের প্রসার রোধের ব্যাপারে ভারত ও ফ্রান্স যে একই লক্ষ্যে চলেছে, সে কথাও বলা হয়েছে ফরাসি বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে। এও বলা হয়েছে যে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট গত ২৪ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত সফরে থাকাকালেও এই লক্ষ্যের কথা জোরালো ভাষায় উচ্চারিত হয়েছে। ২০১৬-র সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, ভারত এনএসজি-র সদস্যপদ পাওয়ার জন্য ‘তৈরি’। সিওলে আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলা এনএসজি-র প্লেনারিতে ভারতের হয়ে সওয়াল করতে সদস্য দেশগুলিকেও ডাক দিয়েছে ওবামা প্রশাসন।
চিন সহ গুটিকয়েক দেশ ভারতের দাবির বিরোধিতা করছে। চিন যেমন খোলাখুলিই ভারতকে সদস্যপদ দেওয়া হলে পাকিস্তানকেও দিতে হবে বলে দাবি তুলেছে।
আমেরিকার পর এবার ফ্রান্সকেও পাশে পেয়ে যাওয়ায় চিনের মোকাবিলায় ভারতের হাত শক্ত হল বলে মনে করা হচ্ছে।