এদিন একটি সংবাদমাধ্যমে সম্পাদকীয় পৃষ্ঠায় নিজের এই বক্তব্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অসামরিক পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা।
সংবাদমাধ্যমে গতকালের প্রকাশিত নিবন্ধে যশবন্ত জেটলির বিরুদ্ধে অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগ আনেন। তিনি এ জন্য তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর ও প্রধানমন্ত্রীর নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকেও দায়ী করেন।
বাজপেয়ী জমানার অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাজারে তেলের কম দামের হাত ধরে যে-সুযোগ জেটলি পেয়েছিলেন, গত ক’বছরে তা কাজে লাগাতে পারেননি। এখন ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা বা আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ তৈরি করেও লোকসভা ভোটের আগে অর্থনীতির হাল ফেরানো অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেন যশবন্ত।
এদিন প্রকাশিত নিবন্ধে জয়ন্ত সিনহা অবশ্য বাবার পর্যালোচনার সরাসরি কোনও উল্লেখ করেননি। কিন্তু তিনি বলেছেন, যে সব নিবন্ধে অর্থনীতি সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সেগুলিতে কিছু সংকীর্ণ তথ্য থেকে উপসংহার টেনে দেওয়া হচ্ছে। অর্থনীতির সামগ্রিক রূপান্তরের জন্য গৃহীত মৌলিক কাঠামোগত সংস্কারের বিষয়টি উপেক্ষা করে এ ধরনের মন্তব্য করা হচ্ছে।
তাঁর আরও দাবি, এই যে কাঠামোগত সংস্কারের কাজ চলছে তাকে একটা বা দুটো ত্রৈমাসিকের ডিজিপি-র হার ও অন্যান্য কয়েকটি তথ্যের বিচারে মূল্যায়ণ করা যায় না। ভারতীয় অর্থনীতিকে বিধিবদ্ধ করে তোলার প্রচেষ্টা হিসেবে তিনি জিএসটি ও নোটবাতিলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন।