বাবা-মায়েরা যা চান, অন্ধের মতো তা পালন করার চেয়ে মৃত্যুর পথে পা বাড়ানো নিজেদের জীবন শেষ করে দেওয়া পড়ুয়াদের কাছে অনেক সহজ, অনায়াস কাজ ছিল বলে উল্লেখ করেছেন সুরপুর। বাবা-মায়েদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, স্নেহ-মায়া ভরা কথা দিয়ে যদি ওদের নিজেদের সেরাটা বের করে আনতে, পরীক্ষার ফলের কথা ভুলে যেতে বলতেন, তাহলে ওরা হয়ত ভরসা পেত, ওদের অমূল্য জীবন বেঁচে যেত। কিন্তু তার বদলে ওরা শুধু আরও, আরও ভাল ফল করতে হবে, এই হুঁশিয়ারিই পেয়েছে।
বাবা-মায়েরাও কি সন্তানদের মতো অবুঝই থেকে যাবেন? বোধহয় নয়। বলেছেন সুরপুর।
তিনি এও উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি এক আত্মঘাতী পড়ুয়া সুইসাইড নোটে মা-কে ধন্যবাদ জানিয়েছে ছেলেমেয়েদের বড় করে তোলার জন্য নিজের কেরিয়ার বিসর্জন দেওয়ায়। আরেকটি মেয়ে সুইসাইড নোটে মা-কে বলেছে, বোন যা করতে চায়, সেটাই ওকে করতে দিও।