২৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ শিয়ালদা-অজমেঢ় এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনটি ২৭ ডিসেম্বর ভোর ৫টায় ছাড়ে। আজ ভোর ৫টা ২০ মিনিটে কানপুরের কাছে লাইনচ্যুত হয় শিয়ালদা-অজমেঢ় এক্সপ্রেসের ১৩টি স্লিপার ও ২টি সাধারণ কামরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রিলিফ ট্রেন ও চিকিত্সকদের একটি দল। দুর্ঘটনার জেরে নয়া দিল্লি-হাওড়া রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ। রেলের তরফে চালু হয়েছে বেশ কয়েকটি হেল্প লাইন।
কানপুরে রেল দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে ঘটনার উপর নজর রাখছেন তিনি।
রেলের উচ্চপদস্থ কর্তাদের ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিত্সকদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। আহতদের চিকিত্সার জন্য রেলের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে।
এএনআইকে জনসংযোগ আধিকারিক অনিল সাক্সেনা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনটির ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেনের প্রথম পাঁচটি ও শেষ তিনটি কামরা অক্ষত আছে। ট্রেনের দুটি কামরা পাশের একটি শুকনো খালে পড়ে গিয়েছে। এর ফলে দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে
উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি জাভেদ আহমেদ জানিয়েছেন, মাস খানেক আগে কানপুরের কাছে পুখরায়ানে যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তার তুলনায় আজকের দুর্ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম। সেবারের দুর্ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় ইনদওর-পটনা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেসের ১৪টি কামরা। মৃত্যু হয় ১৫০ জনের, আহত হন ২৬০ জন। ডিজিপি জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহতদের এরমধ্যেই সকলকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিত্সার জন্যে।
উদ্ধারকারী দল, রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরা দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।