নয়াদিল্লি: ২০২২ নাগাদ কৃষি থেকে আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য পূরণে তাঁর সরকার কৃষির পিছনে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ২.১২ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করেছে বলে জানালেন নরেন্দ্র মোদী।
বুধবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের ৬০০ জেলার কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ইনপুট খরচ কমানো, ফসলের ন্যয্য দাম, উত্পাদিত পণ্যের পচে নষ্ট হওয়া ঠেকানো, বিকল্প আয়ের রাস্তা তৈরি-এগুলি কৃষিতে আয় বাড়াতে তাঁর সরকারের নীতির চারটি মূল বৈশিষ্ট্য।


প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আগের ইউপিএ সরকারের ৫ বছরের তুলনায় তাঁর সরকারের প্রথম চার বছরেই কৃষিতে বাজেট দ্বিগুণ বেড়ে ২.১২ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের বাজেটে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে যাতে চাষিরা পণ্য উত্পাদনের খরচের ১৫০ শতাংশ সমান ফসলের দাম পান। তিনি বলেন, ২০২২ নাগাদ দেশের পরিশ্রমী কৃষকদের দ্বিগুণ বেশি আয় সুনিশ্চিত করতে যেখানে প্রয়োজন, সেখানে সঠিক সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। ভারতের কৃষকদের ওপর আমাদের ভরসা আছে।

দেশে শুধু রেকর্ড খাদ্যশস্য ফলনই হচ্ছে না, বর্তমানে দুধ, ফল, শাকসব্জি উত্পাদনও সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। পরিসংখ্যান দেন, ২০১৭-১৮ য় ২৮০ মিলিয়ন টন খাদ্যশস্য ফলন হয়েছে, যা ২০১০ থেকে ২০১৪-র মধ্যে ছিল গড়ে ২৫০ মিলিয়ন টন, ডাল উত্পাদনও সাড়ে দশ শতাংশ বেড়েছে। বলেন, বীজ রোপন, তারপর, ফসল তোলা, কৃষিকাজের সব ক্ষেত্রে চাষিকে সহায়তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। প্রথমত, মাটির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কার্ড দেওয়া হচ্ছে যাতে চাষি আরও ভাল করে বুঝতে পারে, তার জমির চরিত্র কেমন, কতটা সার দেওয়া প্রয়োজন, সেই পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। ভাল জাতের বীজ তৈরির জন্য কৃষকদের লোনের বন্দোবস্তও রয়েছে। ফসলের পুষ্টি বাড়ানোর উপাদানের কালোবাজারি রোধেও ব্যবস্থা হয়েছে। চাষি যাতে উত্পাদিত পণ্যের সঠিক দাম পায়, সেজন্য দালালদের নির্মূল করতে ই-নাম অনলাইন প্ল্যাটফর্মও শুরু হয়েছে।