নয়াদিল্লি: নেতাজির ১২৫-তম জন্মজয়ন্তীর আগে ভারতীয় রেলের শ্রদ্ধা। ঐতিহ্যবাহী হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলে করা হল নেতাজি এক্সপ্রেস।


মঙ্গলবার রেলবোর্ডের তরফে রেলের সমস্ত বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারদের এই তথ্য জানিয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, গত ১৪ জানুয়ারি, হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলের প্রস্তাব আসে রেলমন্ত্রকের কাছে।


সেই প্রস্তাব মেনেই হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলে নেতাজি এক্সপ্রেস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


এদিকে, নেতাজির জন্মদিবস পরাক্রম দিবস হিসাবে পালিত হবে বলে গতকালই ঘোষণা করে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল বলেন, সরকার ২৩ জানুয়ারি দিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন ‘দেশনায়ক’ দিবস হিসাবে দিনটি উদযাপিত হোক! আমরা এটা দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করব। পরাক্রমের তো অনেক মানে হয়। ২৩-শে জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবিতে ফের সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বারবার বলছি, ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে। সেটা কেন্দ্র করুক।





আবার ফরওয়ার্ড ব্লকের বক্তব্য, নেতাজির জন্মদিন পালিত হোক ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে। বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দাবি দেশপ্রেম দিবস। কেন্দ্র মানুষের আবেগকে মর্যাদা দেয়নি। বিজেপি ও তৃণমূল দুটো দলই নেতাজিকে নিয়ে রাজনীতি করছে।

কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত নিয়ে ধন্যধন্য করছেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারী! বলেন, নেতাজির জন্মদিবস পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য নরেন্দ্র মোদীজিকে ধন্যবাদ। মোদীর নামে জয়ধ্বনি হোক, মোদী মোদী মোদী।


কিন্তু, মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ সমহত নন খোদ নেতাজির নাতি তথা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের গার্ডিনার অধ্যাপক সুগত বসু। তিনি বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত। নেতাজির মতো সাহসী নেতা বিশ্বে খুঁজে পাওয়া কঠিন। রাজ্য সরকার দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করে। নেতাজির ঐক্য ও সাম্যের আদর্শ। সমান নাগরিকত্বের বিশ্বাস, সবাইকে সমান অধিকার,হিন্দু মুসলমান সবাই আজহিন্দ ফৌজে আজাদির লড়াইয়ে সবাই। নেতাজি শুধু যোদ্ধা ছিলেন না। চিন্তা করেছেন কী ধরনের দেশ গড়ে তুলবেন। তা ভাল ভাবে মনে রেখে যেন ২৩ জানুয়ারি পালন করি।