আমদাবাদ: বৃহ্স্পতিবার আমদাবাদ পুলিশ এক দেহব্যবসা চক্র থেকে একটি ১৩ বছরের কিশোরীকে উদ্ধার করে। ওই কিশোরীকে তিন ঘন্টায় আট ব্যক্তি মিলে গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ওই নাবালিকার। এমনকি ওই নাবালিকাকে দেহব্যবসাতেও এনেছে তার বাবা ও সত্ মা অভিযোগ সেই মেয়ের। পুলিশ এই ধর্ষণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে মেয়েটির বাবা-মা সহ আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েটিকে আমদাবাদের ধোলকা জেলার কালিকুন্দ গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটির অভিযোগ সে পঞ্জাবের বাসিন্দা হলেও, তার পরিবার দিল্লিতে থাকে। বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। মেয়েটি জানিয়েছে, তার বাবা-মা দেহব্যবসার একটি চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। তারাই তিনমাস আগে মেয়েটিকে জোর করে দেহব্যবসায় নামায়। মেয়েটির বাবা-মা গত ২১ নভেম্বর থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করে। কিন্তু তখনই পুলিশের মনে সন্দেহ জাগে, কারণ, ১৪ নভেম্বর মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। কেন সাতদিন বাদে পুলিশে ডায়েরি করল মেয়েটির বাবা-মা?

পুলিশি জেরার মুখে অবশেষে নিজেদের দোষ কবুল করে কিশোরীর বাবা-মা। নাবালিকার মা-বাবা যে দেহব্যবসা চক্রের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে, সেখানে আরও কয়েকজন এজেন্টের কাজ করার খবর পেয়েছে পুলিশ। নাবালিকার বাবা-মা বিভিন্ন সময় দেশের নানা শহরে ঘুরে বেড়ায়।