চেন্নাই: ৬ মাসের বিচ্ছেদের ইতি। ফের জুড়ে গেল এআইএডিএমকে-র দুই গোষ্ঠী। যাতে মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামীর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিলেন ও পনীরসেলভম।


জল্পনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। এদিন সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মিশে গেল  পালানিস্বামীর এবং পনীরসেলভমের নেতৃত্বাধীন দুই গোষ্ঠী। এদিন এক ছিমছাম অনুষ্ঠানে রাজভবনে পনীরসেলভমকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল চন্দ্র বিদ্যাসাগর রাও।


ফের মন্ত্রিসভায় ফিরে এলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও, এবার তিনি ডেপুটি সিএম। একইসঙ্গে তিনি অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বও সামলাবেন। প্রসঙ্গত, জয়ললিতার আমলেও ২০১১ সাল থেকে অর্থমন্ত্রী ছিলেন পনীরসেলভম। ফলে, সমঝোতা অনুযায়ী তাঁকে তাঁর পুরনো দফতর ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।


এছাড়া, তাঁর হাতে থাকবে আবাসন, গ্রামীণ আবাসন, আবাসন উন্নয়ন, বস্তি সাফাই বোর্ড এবং বাসস্থান নিয়ন্ত্রণ, নগর পরিকল্পনা, নগরোন্নয়ন ও চেন্নাইয়ের মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।


২০১৪ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা যখন আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জেলে যান, তখন পনীরসেলভম মুখ্যমন্ত্রীর পদ সামলান। পরে, গত বছর ডিসেম্বরে জয়ললিতা মারা যাওয়াপ পরও, মু্খ্যমন্ত্রীর পদে ফের আসীন হন পনীরসেলভম।


কিন্তু, সমস্যার সূত্রপাত হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। দলের ক্ষমতা নিয়ে এআইএডিএমকে নেত্রী তথা জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ভি কে শশীকলার সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন পনীরসেলভম।


এদিকে দল শশীকলাকে পরিষদীয় দলনেত্রী নির্বাচিত করে। কিন্তু, এর মধ্যেই আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জেল হয় শশীকলার। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি তিনি। কিন্তু, শশীকলা-অনুগামীদের জেরে ক্রমশ দলে কোনঠাসা হয়ে পড়েন পনীরসেলভম। ফলে বাধ্য হয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন।


সেইসময় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন কে পালানিস্বামী। বিক্ষুব্ধ এডিএমকে দল ঘোষণা করেন পনীরসেলভম। তিনি অভিযোগ করেন, জেল থেকে আদতে সরকার পরিচালন করছেন শশীকলাই। তাঁকে সমর্থন করে ডিএমকে সহ বিরোধীরা।


ঠিক দুমাস পর গত এপ্রিলে ফের তামিলনাড়ুতে রাজনৈতিক মোড় আসে। শশীকলা ও তাঁর আত্মীয় দীনাকরণকে দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়। সেখান থেকেই পনীরসেলভমের দলে ফেরার পথ প্রশস্ত হয়।