মানস ভুঁইয়া যতই নিজেকে দলের অনুগত সৈনিক বলে দাবি করুন না কেন, তাঁর পিএসি চেয়ারম্যানের পদ আঁকড়ে থাকাকে যে দল ভালভাবে নিচ্ছে না, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড! এআইসিসির তরফে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে সবংয়ের বিধায়ককে। সূত্রের খবর, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে মানস ভুঁইয়াকে ইস্তফা দিতেই হবে। না হলে তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে। এমনকি, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের জন্য পদক্ষেপও নেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা সি পি জোশী জানিয়েছেন, মানস ভুঁইয়া একজন বর্ষীয়ান নেতা। আশা করি তাঁর শুভবুদ্ধির উদয় হবে। হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তই মেনেই চলবেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, কেন পিএসি চেয়ারম্যানের পদ কংগ্রেসের নিজের রাখা উচিত, তার পক্ষে যুক্তি দিয়ে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি , রাহুল গাঁধীকে ইমেল এবং সি পি জোশীকে এসএমএস করেছিলেন। কিন্তু তাঁর যুক্তি ধোপে টেকেনি। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড মনে করে, পিএসি চেয়ারম্যান পদটি সিপিএমকে ছাড়া উচিত। তাতে এই বার্তা দেওয়া যাবে, যে ভোটের পর কংগ্রেস বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। মানস ভুঁইয়ার মনে রাখা উচিত, তাঁর জয়ের নেপথ্যে বামেদেরও সমর্থন রয়েছে।
গত কয়েকদিনে বারবার নিজেকে ৬ বারের বিধায়ক বলে নিজেকে পিএসি চেয়ারম্যান পদে যোগ্য প্রমাণের চেষ্টা করেছেন মানস ভুঁইয়া। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বক্তব্য, লোকসভায় ৯ বারের সাংসদ কমলনাথ। তা সত্ত্বেও লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা করা হয়েছে কমলনাথের থেকে কম বারের সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। তাছাড়া, আবু হেনাও কিন্তু বাংলা থেকেই ৬ বারের বিধায়ক।
এরপরেও, পদ-প্রশ্নে এখনও অনড় মানস ভুঁইয়া। মঙ্গলবার পিএসি-র প্রথম বৈঠকও ডেকেছেন তিনি। আপাতত তাঁর পদক্ষেপের দিকে নজর রাখেছে চব্বিশ নম্বর আকবর রোড।