নয়াদিল্লি: এইমসের ইতিহাসে এই প্রথম। বন্ধ রইল সদাব্যস্ত এমার্জেন্সি বিভাগ। সপ্তম বেতন কমিশনে মাইনে বাড়ানোর দাবিতে নার্সরা গতকাল গণছুটি নেন। ৫,৪০০ নার্সের মধ্যে কাজে আসেন মাত্র ৪০০-র মত সিনিয়র কর্মী। স্টাফ কম থাকায় গুরুতর অসুস্থদেরও ভর্তি নেওয়া হয়নি।


প্রতিদিন ২০০-র বেশি সার্জারি হয় এইমসে। নার্স না থাকায় বড় ছোট কোনও অপারেশন হতে পারেনি গতকাল। হয় শুধু এমার্জেন্সি অপারেশন। সিনিয়র প্যারামেডিক্যাল স্টাফ ও ছাত্রছাত্রীদের সাহায্যে উতরে দেওয়া যায় সেগুলো।

নার্সের অভাবে এইমসের ক্যাজুয়ালটি বিভাগ ও ট্রমা সেন্টারে একজন রোগীকেও কাল ভর্তি করা যায়নি। অথচ অন্যদিন মেন ক্যাজুয়ালটি বিভাগে অন্তত ৪৫০জন ভর্তি হন। এমার্জেন্সি পরিষেবার জন্য দেশের সেরা এইমসের ট্রমা সেন্টারে রোজ ভর্তি হন অন্তত ১৫০জন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা কাল রোগীর আত্মীয়দের জানিয়ে দেন, অসুস্থকে অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে।

চিকিৎসকরা মনে করছেন, নার্সদের দাবি ন্যায্য হলেও যে পন্থায় তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা অমানবিক। এর আগেও এ ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে কিন্তু এমার্জেন্সি পরিষেবা কোনওভাবেই ব্যাহত হতে দেওয়া হয়নি। এমনও অসুস্থ রোগী এই পরিষেবা পেতে আসেন, চিকিৎসায় একটু দেরি হলে যাঁদের মৃত্যুও অসম্ভব নয়।

বিকল্প ব্যবস্থা না রাখার জন্য এইমস ম্যানেজমেন্টকেও দুষেছেন তাঁরা।

ধর্মঘটী নার্সরা বিকেল ৫টা থেকে কাজে যোগ দেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আর তাঁরা এভাবে কাজ বন্ধ রেখে আন্দোলন করবেন না। তাঁদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।