রায়পুর: কর্নাটকে বিজেপিকে রাজ্যপালের সরকার গড়তে ডাকার সমালোচনার পাশাপাশি পাকিস্তানকে টানলেন রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার সকালে রাজনৈতিক অস্থিরতায় টালমাটাল কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপি নেতা বি এস ইয়েদুরাপ্পার শপথ নেন। সুপ্রিম কোর্ট কংগ্রেস-জেডি (এস) এর বিরোধিতা খারিজ করে ইয়েদুরাপ্পার শপথ গ্রহণে সবুজ সঙ্কেত দেয়। তারপরই মুখ খোলেন রাহুল। দেশের বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে রাহুলের মন্তব্য,
অ্যায়সা পাকিস্তান মে হোতা হ্যায়!

এদিন ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে জন স্বরাজ সম্মেলনের ভাষণে কংগ্রেস সভাপতি বিজেপি, নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে তুলোধনা করেন। অমিত শাহ সম্পর্কে বলেন, এক খুনের আসামী দেশের প্রধান জাতীয় দলের মাথায় রয়েছেন।

সংবিধান 'ভয়াবহ বিপদে' পড়েছে, দেশে ভীতির পরিবেশ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কংগ্রেস সভাপতি। সম্ভবত, গত জানুয়ারিতে শীর্ষ আদালতের চার বিচারপতির প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে অসন্তোষ উগরে দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থাকেও চাপে ফেলে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁদের বিধায়কদের বিজেপি ১০০ কোটি টাকা ঘুষের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে বলে জেডিএস নেতা কুমারস্বামীর অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে রাহুল বলেন, কর্নাটকে বিধায়করা একদিকে, আরেকদিকে রাজ্যপাল। আপনারা জানেন, সেখানে কোন চেষ্টা চলছে।

বিজেপি, আরএসএস দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে কব্জা করছে বলে অভিযোগ করে রাহুল বলেন, এমপি, এমএলএ, মিডিয়া, যোজনা কমিশন, একের পর এক প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নিজেদের লোক বসাচ্ছে আরএসএস। এইসব প্রতিষ্ঠানগুলি মিলে দেশের কন্ঠস্বর হয়ে ওঠে। সেই আওয়াজকে স্তব্ধ করে দিতে চাইছে বিজেপি, আরএসএস। তাঁর দল বহু বছর দেশ চালালেও কখনও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে করায়ত্ত করার চেষ্টা করেনি। বিচারবিভাগ, প্রেস আতঙ্কিত, এমনকী বিজেপি সাংসদরাও ভয়ে ভয়ে থাকেন, কারও প্রধানমন্ত্রীর সামনে টু শব্দটি করার সাহস নেই বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, গত ৭০ বছরে দেখা গিয়েছে, মানুষ ন্যয়বিচার চেয়ে বিচারবিভাগের দ্বারস্থ হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম দেখা গেল, শীর্ষ আদালতের চার বিচারক প্রকাশ্যে অভিযোগ করলেন, তাঁদের কর্তব্য পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। একনায়কতন্ত্রে এমন হয়, পাকিস্তানে হয়। আফ্রিকার নানা দেশে হয়। একজন জেনারেল ক্ষমতায় এসে প্রেস, আদালতকে খর্ব করেন। কিন্তু আমাদের দেশে গত ৭০ বছরে এমনটা দেখা গেল এই প্রথম।