আয়ারের এই মন্তব্যের সমর্থন করেননি কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাই তাঁর প্রাথমিক সদস্যপদ সাসপেন্ড করে দল। তবে কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে বিজেপির পাল্টা দাবি, পুরোটাই কংগ্রেসের কৌশলগত খেলা, মন্তব্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির।জেটলি টুইট করে বলেন জাত তুলে অত্যন্ত কদর্জ ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে আয়ার আসলে দেশের দুর্বল এবং দলিত সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
এমনকি আয়ারের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে জেটলির মন্তব্য, এই ধরনের মন্তব্য থেকেই বোঝা যায় কংগ্রেসের মানসিকতা কেমন। এই দলটি মনে করে, দেশকে একমাত্র একটি পরিবারই শাসন করতে পারে। যদিও ভারতে গণতন্ত্রের আসল শক্তি তখন সবাই বুঝতে পারবে, যখন কোনও সাধারণ পরিবারের সদস্য ক্ষমতার শীর্ষে বসবে, পরিবারতন্ত্রকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী গতকাল অম্বেডকর আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন। মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, অম্বেডকরের অদ্ভূত শক্তি এটাই যে, তিনি চলে যাওয়ার পর দেশ গঠনে তাঁর অবদান মুছে দেওয়ার চেষ্টা হলেও তাঁর আদর্শ, চিন্তাভাবনাকে মানুষের মন থেকে মুছে দেওয়া যায়নি। কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তিনি এও বলেন, এটা বলা ভুল হবে না যে, দেশের যে পরিবারটির জন্য অম্বেডকরের অবদান মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে, তাদের চেয়ে দেশের মানুষ আজও অম্বেডকরের আদর্শকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এছাড়াও মোদী অভিযোগ করেন কংগ্রেস অম্বেডকরের নামে ভোট চায়, কিন্তু দেশ গঠনে তাঁর অবদান ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ তোলার পরই তাঁকে ‘নীচ কিসম কা আদমি’ অর্থাত খারাপ লোক বলেন আয়ার।
এছাড়াও আয়ার দাবি করেন, অম্বেডকরের ক্ষমতাকে প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরুই।